এক গৃহবধূর সন্দেহের ভিত্তিতে তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় এক মাস আগে কেরানীগঞ্জে নিখোঁজ হওয়া এক শিশুর দেহাবশেষ পেয়েছে পুলিশ।
Published : 19 Aug 2014, 12:14 AM
গ্রেপ্তার রিকশাচালক রানা কেরানীগঞ্জের বন্দ ডাকপাড়ায় নিহত আট বছরের শিশু মীম আক্তার বৃষ্টিদের বাসার পাশের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক আশোক কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে মীমকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে রানা।
“তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় নিকটবর্তী একটি বিল থেকে মীমের কঙ্কাল, জামা-কাপড় ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।”
এসআই অশোক জানান, গত ২৪ জুলাই বন্দ ডাকপাড়ার সরবত বিক্রেতা বাবুল মিয়ার মেয়ে মীম আক্তার নিখোঁজ হন। পরদিন এই ঘটনায় বাবুল মিয়া থানায় একটি জিডি করেন।
সোমবার সকালে রানার স্ত্রী সাথী তার স্বামীর গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মীমের বাবা ও আশপাশের লোকজনকে জানালে এলাকাবাসী রানাকে ধরে পুলিশে দেয়।
সাথী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, মীম নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্বামীর আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়।
“গতরাতে মীমের বিষয়ে কিছু জান কি না বললে রানা আমাকে মারতে উদ্যত হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সকালে মীমের বাবা ও আশপাশের লোকজনকে তা জানাই।”
পুলিশ কর্মকর্তা অশোক বলেন, মীম নিখোঁজ হওয়ার পর রানাই এলাকায় মাইকিং করেন ও পোস্টার লাগান।
মীম স্থানীয় একটি স্কুলে পড়তো। তবে কোন শ্রেণিতে পড়তো তা তিনি জানাতে পারেননি।
ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহাবশেষ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।