নানা অভিযোগের মুখে থাকা লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বাঙালি মেয়র লুৎফর রহমানের নির্বাচন নিয়ে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আচরণের জন্য তার ওপর চটেছেন যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ।
Published : 30 May 2014, 10:53 PM
লুৎফরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের ঘোষণা দিয়ে দোষ প্রমাণিত হলে তাকে পুলিশে দেয়ার কথাও বৃহস্পতিবার এক রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন বলে ‘লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’ জানিয়েছে।
ভোটের ফল পক্ষে না এলে সহিংসতা ছড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে লুৎফর কার্যত গণতন্ত্র নস্যাতের হুমকি দিয়েছিলেন বলে মনে করেন ক্লেগ।
গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত লন্ডনের স্থানীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির জন বিগসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচিত হন লুৎফর।
নবগঠিত ‘টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্ট পার্টি’র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া লুৎফরের এক উপদেষ্টা ভোটের ফল ঘোষণার আগে বলেছিলেন, ফলাফল গ্রহণযোগ্য না হলে ‘রাস্তায় রাস্তায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে’।
“যা ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে আমিও আপনাদের মতোই ক্ষুব্ধ। ইলেকটোরাল কমিশন বলেছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করবে এবং ভীতি প্রদর্শনের এই গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।”
“যদি প্রমাণিত হয় অপরাধীদের মতো সে (লুৎফর) মানুষকে ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছে, তবে অবশ্যই পুলিশ ডাকা হবে,” বলেন উপপ্রধানমন্ত্রী।
ইলেকটোরাল কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা লুৎফরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করতে যাচ্ছে।
বিতর্কিত মেয়র লুৎফুরকে নিয়ে ক্লেগ বলেন, “আমি লক্ষ্য করছি লুৎফর ও তার দল টাওয়ার হ্যামলেটসে যাচ্ছেতাই করতে যাচ্ছে।”
এক সময়ে লেবার পার্টিতে যুক্ত লুৎফর এনিয়ে দ্বিতীয়বার টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র হলেন। তবে এবার তাকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল।
সম্প্রতি বিবিসির সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে অনুষ্ঠান প্যানোরমায় বলা হয়, টাওয়ার হ্যামলেটসে নির্বাচিত মেয়র কর্মকর্তাদের সুপারিশ নাকচ করে বাংলাদেশি ও সোমালি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনেক বেশি অনুদান দিয়েছেন, যাতে অন্যান্য সংগঠনকে অনুদান দেয়ার ক্ষেত্রে তহবিল কমে গেছে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে লুৎফুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পরিদর্শক নিয়োগ করে যুক্তরাজ্য সরকার।
আর তার বিরুদ্ধে ‘বিভেদমূলক গোষ্ঠিগত রাজনীতির চর্চা’র অভিযোগ আনেন যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এরিক পিকলসও।