চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান সোমবার এই আদেশ দেন।
রেলের নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচ মামলার আসামি ইউসুফ মৃধা দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠাতে বলেন।
বিচারক আদেশে বলেন, “তদন্তাধীন সময়ে তিনি পলাতক আসামি ছিলেন। উনার জন্য গেজেট ইস্যু করা হয়েছে। এ অবস্থায় জামিন দেয়া যায় না।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি মাহমুদুল হক সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব রেলের সাবেক জিএম মৃধার বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই পাঁচটিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে ‘সহকারী কেমিস্ট’ ও ‘ফুয়েল চেকার’ পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
‘এছাড়া টুলকিপার’, ‘টিকেট ইস্যুয়ার’ ও ‘ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস’ পদে নিয়োগের মামলায় মৃধাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
ইউসুফ আলী মৃধার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারও।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে।
এরপর পূর্ব রেলের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ওই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় এসব মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।