জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখী হওয়ার পর এবার সম্পদের হিসাব বিবরণী দিতে হবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহাবুবুর রহমান এবং রাজশাহীর সাংসদ এনামুল হককে।
Published : 02 Mar 2014, 04:57 PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ওই তিনজনসহ মোট সাতজনকে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিস পাঠানো হবে। রোববার কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী নোটিস পাওয়ার পর সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে হবে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
যে সাতজনকে নোটিস দেয়া হবে তারা হলেন- রুহুল হক, তার স্ত্রী ইলা হক ও ছেলে জিয়াউল হক; মাহাবুবুর রহমান, তার স্ত্রী প্রীতি রহমান এবং এনামুল হক ও তার স্ত্রী তহুরা হক।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত মহাজোট সরকারের সময়ের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলে নেয় দুদক।
দশম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় স্ত্রীর নামে ব্যাংকে স্থিতি ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার টাকা লিখেছিলেন রুহুল হক।
গত সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘অসাবধানতাবশত’ ওই তথ্য লেখা হয়েছিল। ওই অঙ্ক হবে ৪৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, গত মহাজোট সরকারের সময় রুহুল হকের স্ত্রী ইলা হক, ভগ্নিপতি নাজমুল আরেফিনসহ তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা চাকরিতে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ চালিয়েছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে ২০ একর জমির মালিক থাকলেও মহাজোট সরকারেরর শাসনামলে পটুয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মাহাবুবুর রহমান ২ হাজার ২৬৫ একর জমির মালিক হয়েছেন। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ গত পাঁচ বছরে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা হয়েছে।