উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন স্থানে গোলযোগ হয়েছে, যাতে হামলার মুখে পড়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও।
Published : 27 Feb 2014, 08:29 PM
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, প্রতিপক্ষের ওপর ও কেন্দ্রে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
কয়েকটি স্থানে হামলা-সংঘর্ষ ঠেকাতে গুলি করতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
নোয়াখালী: সোনাইমুড়ি উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত হন একজন।
জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, দুপুরে জামায়াতকর্মীরা নান্দিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করতে গেলে সংঘর্ষের শুরু।
“সংঘর্ষ থামাতে প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ গুলি করে।”
এসময় সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হন, যাকে স্থানীয় বিএনপি নিজেদের কর্মী বলে দাবি করলেও পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি।
সদর উপজেলার ‘আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইবনে সালেহ মো. ফরহাদ জানান, সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়। এরপর দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে ঢুকে দুটি ব্যালট বক্স ভাংচুর ও ব্যালট পেপার নিয়ে যায়।”
বাধা দিতে গেলে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার মমতাজ বেগম, সাহিদা আক্তার ও আবুল হাসেমের ওপর হামলা হয় বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট: ফকিরহাটে একটি কেন্দ্রের বাইরে বিজিবি সদস্যদের মারধরের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার নিয়ামত হোসেন।
সকাল ১১টায় ফকিরহাটের সদর ইউনিয়নের সাতসিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ভোটারদের সংঘর্ষ বাঁধে।
নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নির্বাহী হাকিম আরিফুল ইসলাম বলেন, জামাল ও আজমল নামে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী দলবল নিয়ে রাস্তা আটকে ভোটারদের বিরক্ত করছিল। সরিয়ে দেয়ার সময় তারা বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে দু’জনকে আটক করা হয়।
“পরে সরদার নিয়ামত তাদের ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় আমি নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবিকে ফাঁকা গুলি করার নির্দেশ দেই এবং চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ চার জনকে আটক করে নিয়ে আসি।”
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সরদার নিয়ামত দাবি করেছেন, দলীয় এক কর্মীকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গালাগাল করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিজিবি সদস্যরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু শুকুর আলী জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে বহিরাগত একজনকে গ্রেপ্তারের পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আরও তিন জনকে আটক করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে আটক ব্যক্তিদের পরে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
যশোর: চৌগাছায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এস এম হাবিবের সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ নিয়ে জহুরুল ওই কেন্দ্রে গেলে হাবিবের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জহুরুলকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় ঝিকরগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামের কর্মীরা কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কায়েমকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট পেপারসহ ভোটের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, কয়েকশ’ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে কেন্দ্রে হামলা চালায়।
এছাড়া মনিরুল ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুছা মাহামুদের কর্মীদের সংঘর্ষের কারণে পাকড়া ইউনিয়নের খোসখালী কেন্দ্র ও গঙ্গানান্দপুর ইউনিয়নের আটুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে।
ঠাকুরগাঁও: সকাল ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায় এক ভোটারকে লাঠিপেটা করার জেরে বড়বাড়ি, বালিয়া ও হরিণবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় বিজিবি ও সেনা সদস্যরা ভোটারদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। ভোটাররাও পাল্টা ঢিল নিক্ষেপ করে। সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয় হরিণবাড়ি কেন্দ্রে।
জেলা প্রশাসক মুকেশ কুমার বিশ্বাস বলেন, “এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে বিজিবি ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
মুন্সীগঞ্জ: সকাল ৯টায় সদর উপজেলার মালির পাথর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে পঞ্চসার ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়াত আলী (৫০) ও তার ছেলে মামুন দেওয়ানকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে দূবৃত্তরা।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের ভট্টাচার্যেরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও এখানে কেউ আহত হয়নি।
দুপুর ১২টার দিকে রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৭ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
সকাল ৯টার দিকে শ্রীনগর উপজেলায় হাসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব আলমপুর হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দখল নিতে চেষ্টা করলে বিএনপি কর্মীরা তাকে মারধর করে।
পরে আহসান হাবীবের লোকজন আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাংচুর চালায়।
বেলা এগারটার দিকে সমষপুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সধারণ সম্পাদক নেছারউল্লাহ সুজনের অনুসারীরা বিএনপি এজেন্টদের মারধর করে দিয়ে কেন্দ্রটি দখলে নেয়। এসময় তারা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মমীন আলীর ছেলে তৈয়ব হোসেন মামুনকে মারধর করে।
এর পরপরই আওয়ামী লীগ কর্মীরা কোলাপাড়া কেন্দ্র দখলে নিতে গেলে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্র্ষে ৫ জন আহত হয়।
দুপুর দুইটার দিকে কুকুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি কর্মীরা এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে মারধর করে।
ফেনী: সদর উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল হক জানান, সকালে সদর উপজেলার ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা ৫টি ব্যালট বই, দুটি ব্যালট বক্স, সিল ও ভোটার তালিকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিনতাই করলে এক ঘন্টা ভোট বন্ধ রাখা হয়।
ওই কেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
এছাড়া পাঁচগাছিয়া বোর্র্ড অফিস ও সুলতানপুর আমিন উল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনতাইয়ের কারণে ভোট স্থগিত করা হয়।
সাতক্ষীরা: ভোট চলাকালে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন আহত হন।
কিছুক্ষণ পর একই স্থানে আরেকটি সংঘর্ষে জামায়াত সমর্থক সাচ্চু মিয়া ও উপজেলা ছাত্রদল সেক্রেটারি তৈয়েবুর রহমান গুরুতর আহত হন।
এদিকে উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর মোল্লাপাড়া গ্রাম থেকে ১৭টি হাতবোমাসহ এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম: সকাল ৯টার দিকে রাজিবপুর উপজেলায় চর সাজাই মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ফয়জুল হককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, মোক্তার আলী ও আব্দুল মোন্নাফ নামের দুই যুবক প্রকাশ্যেই আনারস মার্কায় সিল মারার সময় বাধা দেন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ফয়জুল হক।
এনিয়ে বচসার এক পর্যায়ে কোদালকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঐ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ছক্কু ভোট কেন্দ্রে ঢুকে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারকে মারধর করেন।
সিরাজগঞ্জ: বেলা পৌনে ২টার দিকে তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয় বহিরাগতরা।
এ সময় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিলন কুমারকে মারধর করা হয়। এ সময় এক আনসার সদস্যও আহত হন। পরে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।
গোপালগঞ্জ: সদর উপজেলায় দক্ষিণ বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দেবব্রত মণ্ডল জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১ ও ২ নম্বর মহিলা বুথে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ব্যালট পেপার নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম শাহ আলমের প্রতীকে সিল দেয়া শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা দুই পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
পরে গোপালগঞ্জ থেকে বাড়তি পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করতে আসে।
পুলিশ লাঠিপেটা করে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান।
সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম শাহ আলমের ছয় সমর্থককে আটক করে পুলিশ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হন।
রাজশাহী: বাঘা উপজেলার দুটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামায়াতকর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মজিবুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জামায়াত কর্মীরা কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাধা দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, বলেন মজিবুর।
এর আগে বেল ১১টার দিকে উপজেলার পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জামায়াতের হামলায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাসুদ আলী আহত হন।
চাঁদপুর: ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হর্নিদুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রায় ১ হাজার ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল।
ভোলা: চরফ্যাশন উপজেলার নূরাবাদ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টারসহ ৫ জনকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জয়নাল আবেদীন আখনের লোকজন পিটিয়ে আহত করে।
এছাড়া আমিনাবাদ ইউনিয়নের কচুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি রাসেল, রিপনসহ ১০ জনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনির মেম্বার পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার ভূইয়া অভিযোগ করেছেন, মধ্য পক্ষিয়া রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯ টায় তিনি ভোট দেখতে গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহব্বতজান চৌধুরীর লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।
শেরপুর: ঝিনাইগাতী উপজেলার চেঙ্গুরিয়া আনছার আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সকাল ১১ টার দিকে জাল ভোট দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিএনপি সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫ সমর্থক আহত হন।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুহিবুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, সকাল ৯ টার দিকে ঝিনাইগাতীর তিনআনী আদর্শ ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রের পেছন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫ টি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাভার: অনির্বাণ কিন্ডারগার্টেন স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ শামীম বাধা দেন। এ সময় তারা তাকে মারধর করে।