দুর্নীতি দমন কমিশনে নিজের বক্তব্য জানিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বলেছেন, অবৈধ সম্পত্তি থাকার প্রমাণ মিললে তিনি পদত্যাগ করবেন।
Published : 16 Feb 2014, 02:07 PM
তিনি বলেছেন, “আমি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। আমার যা কিছু রয়েছে, তার সবই ব্যবসার মাধ্যমে বৈধ উপার্জন।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিগত মহাজোট সরকারের সময়ের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধির খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলে নেয় দুদক।
এরপর বদিসহ সাতজনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। বদির সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-পরিচালক আহসান আলীকে।সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় বদিকে।
ওই আদেশ মেনে রোববার সেগুন বাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে হাজির হন কক্সবাজার-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য। তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
বদি বলেন,“দুর্নীতির যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে এসেছে, তার একটি কথাও যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করব।”
হাস্যোজ্জ্বল এই সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের সামনে এসে কোনো প্রশ্ন পাওয়ার আগেই বলেন, “আজ আমার নিজেকে এমপি হিসেবে সার্থক মনে হচ্ছে। এই প্রথম এতজন সাংবাদিক আমার সামনে উপস্থিত হয়েছ্নে।”
তিনি দাবি করেন, তাকে হেয় করতে বিএনপির সঙ্গে ‘আঁতাত’ করে কিছু সাংবাদিক ‘মিথ্যা’ তথ্য দিচ্ছে।
“আমার মোট মূলধনের পরিমাণ ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। অথচ কিছু সংবাদপত্রে এসেছে, আমার সম্পদের পরিমাণ ৩৬ কোটি। এই তথ্য তারা কোথায় পেলেন?”
তবে তা-ও আমদানি-রপ্তানির বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বদি বলেন, তিনি আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। তাই দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের বলেন, বদির পর আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, ২৩ ফেব্রুয়ারি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানকে তলব করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “দুদকের এই অনুসন্ধান কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য থাকবে অভিযুক্ত মন্ত্রী –সংসদ সদস্যরা কোনো সম্পদ গোপন করেছেন কি না, তা খুঁজে বের করা।”