রাবি ছাত্রলীগের দাবি, হামলায় ছিল শিবির

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার জন্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মুখে থাকা ছাত্রলীগ নিজেদের দোষ অস্বীকার করে দায়ী করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে।

রাবিতে এই মিছিলের পরপরই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। রাবিতে এই মিছিলের পরপরই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়।

অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ

বর্ধিত ফি ও সান্ধ্য কোর্স বাতিলের দাবিতে ধর্মঘটী শিক্ষার্থীদের ওপর রোববার দফায় দফায় হামলা হয়। এর পর উত্তেজনার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান রানার নেতৃত্বে একটি মিছিলের পর এই হামলার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন আন্দোলনরতরা।

তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী এই হামলায় জড়িত নয়। ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে অস্ত্রহাতে ছাত্রলীগ নেতাদেরই দেখা গেছে।   

ছবিতে শিক্ষার্থীদের দিকে পিস্তল উঁচিয়ে থাকা অবস্থায় দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসরাফুল ইসলাম ইমনকে।

এছাড়া গণমাধ্যমে ছাপা হওয়া অন্যান্য ছবিতে রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পলাশ, নাসিম আহম্মেদ সেতু, মুস্তাকিন বিল্লাহ, আল-গালিব, ফয়সাল আহম্মেদ রুনু ও সাবেক নেতা সুদীপ্ত সালামকেও দেখা গেছে।

ছাত্রলীগের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কোনো নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেনি। সেই ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ওপর হামলার তো প্রশ্নই আসে না।”

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দাও জানান তিনি।