শীতকালীন মহড়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী অবস্থান নিলেও নির্বাচনী দায়িত্বে তারা এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
Published : 19 Dec 2013, 09:32 PM
আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা শুক্রবার জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রধান ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন সিইসি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসি কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “২০০৮ সালের মতো যাদের যাদের ডাকার তাদের ডেকেছি। কালকে (কোথায়, কদিন থাকবে) বলব আপনাদেরকে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটবিহীন এবারের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না। এসব আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে বলে ভোটগ্রহণ হবে ১৪৬টি আসনে।
তফসিল ঘোষণার সময় কাজী রকিব বলেছিলেন, অন্যবারের মতো এবারের নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হবে।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নবম সংসদ নির্বাচনে ১২ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা ভোটের আগে-পরে ৫ দিন মোতায়েন ছিল।
সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন,দুইভাবে তা করা হয়। সরকার ও ডিসি প্রয়োজন হলে আইনের বিভিন্ন ধারায় সেনাবাহিনীকে ডাকতে পারে।
“আমাদের বিষয়টা অন্যরকম। নির্বাচনের জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয়, তারা সহায়তা করে। তখন আমরা ডাকি তাদেরকে। তাদের খরচও আমরা দিই।”
কাজী রকিব বলেন, ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। তবে তারা এখনো নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত নয়।
সাতক্ষীরায় যৌথ অভিযানের মধ্যে ওই জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি একথা বলেন।
“সেনাবাহিনীর সদস্যরা উইন্টার এক্সারসাইজে যায়। তারা ফিল্ড এক্সাসাইজ করে। তারা এখনো আমাদের কাজে নয়।”