রাজধানীতে কোরবানীর হাটে পশুর যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা নেই সেই তুলনায়। তাই অপেক্ষাতেই কাটছে বিক্রেতাদের।
Published : 13 Oct 2013, 06:41 PM
রোববার গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা পশু নামানো হচ্ছে হাটে। খামারিরা জানালেন, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকেই আসছে বেশিরভাগ গরু।
হাটে দুটো সাদা ও কালো রঙের শংকর গরু নিয়ে এসেছেন ফরিদপুরের আব্দুর রাজ্জাক। তার দাবি, গাবতলী বাজারে তার গরুই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড়। দাম চাচ্ছেন প্রতিটির ১২ লাখ টাকা।
রাজ্জাক জানান, সাত মাস বয়সে চট্টগ্রাম থেকে গরু দুটি সাত লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল। ১৩ মাস পালার পর এখন প্রতিটির ২০ মনের বেশি মাংস হবে।
“হাটে আনার পর গত দুই দিনে অনেকেই গরু দুটিকে দেখতে ভিড় করেছেন। তবে কেউ দামাদামি করেননি,” আক্ষেপ করে বলেন তিনি।
তার দাবি, প্রতিটি গরুর মাংস হবে চার মনের বেশি। দামও হাঁকাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে।
কুষ্টিয়া থেকে আসা খামারি মো. শফিক মোল্লার কাছেও মিললো একই বক্তব্য।
তিনি জানালেন, টানা দুই দিন রোদের মধ্যে গরু নিয়ে অপেক্ষা করছেন, তবে ক্রেতা নেই।
অবশ্য ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেল শ্যামলী থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী সাইফুর রহমানের কণ্ঠে।
তিনি জানান, গত দুই দিন ধরে তিনি বাজারে আসছেন পছন্দের কোরবানীর পশু কেনার জন্য। তবে তিনি পাচ্ছেন না।
গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, এবারের হাটে গরু সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও ক্রেতাদের ভিড় তেমন দেখা যাচ্ছে না। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে তার আশা।