হত্যা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদ ধ্বংসসহ বিভিন্ন অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে।
Published : 06 May 2013, 07:21 PM
রাজধানীর পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এসব মামলা করা হয়েছে বলে সোমবার রাতে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার নাজমুল আলম।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার রাতে এই মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
ওই কমর্মকর্তা বলেন, “এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে পাঁচটি মামলা করেছে। আরা বাকি মামলাগুলো করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।”
হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
এসব মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা বলে জানান তিনি।
রোববার হেফাজতে ইসলামি রাজধানীতে অবস্থানকালে হত্যা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ সম্পদ নষ্টসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই মামরা করা হয়।
রোববার মতিঝিলে সমাবেশে যোগ দেয়া হেফাজতকর্মীরা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। দিনভর তাণ্ডব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
পুরানা পল্টনে সিপিবি ও হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন ভবনসহ বায়তুল মোকাররম এলাকার অসংখ্য দোকানে আগুন দেয় তারা।
হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের তিন পাশে (উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম) অন্তত সাড়ে সাতশ’ দোকানে আগুন দেয়, যার মধ্যে পোশাক-পরিচ্ছদ, গৃহস্থালীর পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা, স্যান্ডেল, ধর্মীয় বইপত্রের দোকান ছিল। ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফও পুড়েছে তাদের আগুনে।
পরে সোমবার ভোররাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শাপলা চত্বর থেকে পালাতে থাকা হেফাজতকর্মীরা রাজারবাগ এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে।