ময়মনসিংহে গণজাগরণ মঞ্চের কয়েকশ গজের মধ্যে একটি দোকানে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি হয়েছে।
Published : 11 Feb 2013, 01:37 PM
শহরের গাঙিনার পাড় এলাকায় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে অনুষ্ঠান চলাকালে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরপর অন্তত ২০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
জামায়াত-শিবির এই হামলা চালিয়েছে সন্দেহ করে উত্তেজিত জনতা এরপর বিস্ফোরণস্থলের দিকে ছুটে যায়। এরপর ইসলামী ব্যাংক কার্যালয়ে এটিএম বুথ ভাংচুর, ব্রহ্মপল্লীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। একই সময়ে পাশে দুর্গাবাড়ি রোডে চলছিল রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি। এ কারণে এই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।”
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ময়মনসিংহেও ‘জাগো ময়মনসিংহ’ ব্যানারে কর্মসূচি চলছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল এবং আটক শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে সারাদেশে মঙ্গলবার জামায়াতের কর্মসূচি চলছে।
জামায়াতের কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা থাকায় ওই বিস্ফোরণ শিবিরের ছিল বলে সন্দেহ করে অনুষ্ঠানে সমবেতরা।
তাই বিস্ফোরণের শব্দে সবাই সেদিকে ছুটে যায় এবং এর পরপরই কয়েকটি স্থানে ভাংচুর চালানো হয়।
ইসলামী ব্যাংক ও রেটিনা কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি সারদা ঘোষ রোডে স্বদেশ হাসপাতালেও ভাংচুর চালানো হয়।
ডাকাতরা একটি গহনার দোকানে ডাকাতির পর যাওয়ার সময় আতঙ্ক ছড়াতে কয়েকটি বোমা ফাটায় বলে পুলিশ জানায়।
হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ জন পথচারী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জাগরণমঞ্চে সমবেতরা ধাওয়া করলে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ইম্পেরিয়াল মার্কেটের আলিম জুয়েলার্সে ডাকাতি চালায় ডাকাত দল।
মুখোশধারী ডাকাতরা অন্তত দেড়শ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে বলে দোকানের কর্মীরা জানায়।