বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও আনসারদের বিরুদ্ধে।
Published : 09 Jun 2019, 04:32 PM
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে লাঠিপেটার কোনো ঘটেনি।
বিএসএমএমইউতে ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক পদে নিয়োগে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ মার্চ। পরীক্ষায় অংশ নেন আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশ নেন।
কিন্তু ১২ মে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই অনিয়েমের অভিযোগ তুলে শতাধিক চিকিৎসক বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে ফলাফল টেম্পারিং করা হয়েছে।
এ অবস্থায় রোববার দুপুরে ৬০-৭০ জন আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয়ে উপাচার্যের কক্ষে ঢুকতে গিয়ে পুলিশ ও আনসারের বাধার মুখে পড়েন।
আন্দোলনকারীদের একজন মাইদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমরা উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এছাড়া মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়মের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও জানতে গিয়েছিলাম।
“প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতেই প্রথমে আনসাররা আমাদের বাধা দেয়। পরে ভিসি স্যারের কার্যালয়ের সামনে গেলে পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে বের করে দেয়।”
আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা বিভিন্ন কোর্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছি। এখানে আমাদের চাকরি হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু অনিয়মের কারণেই আমাদের বাদ পড়েছি।”
আন্দোলনকারী চিকিৎসক আজিজুর রহমান বলেন, “ভিসি স্যার নিজেই নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এই নিয়োগে ব্যাপকহারে আত্মীয়করণ, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, “আন্দোলনকারীদের কয়েকজন এসেছিল, আনসারদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে, আমি তো তাদের সামনে দিয়েই আসলাম।”
আর লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, পুলিশ কোনো লাঠিচার্জ করেনি, আন্দোলনকারীরা ওপরে উঠেছিল, তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।