নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংলাপ শেষ করতে পারার পর স্বস্তি বিরাজ করছে নির্বাচন কমিশনে। এখন গণমাধ্যমের সঙ্গে দ্বিতীয় সংলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
Published : 02 Aug 2017, 12:08 AM
প্রথম সংলাপের পর দিন মঙ্গলবার সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। ইসি কর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে নির্ভার।
তারা মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে আস্থা এবং নির্বাচনে সমান সুযোগ তৈরিতে ক্ষেত্র প্রস্তুতের কাজ শুরু করা গেছে।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুশীল সমাজের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রথম সংলাপ ভালোভাবে হয়েছে; অনেক ভালো ভালো সুপারিশ এসেছে। প্রথমদিনের সংলাপে কমিশন ভেরি হ্যাপি।”
এখন গণম্যাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে তালিকা চূড়ান্তের কাজ করছে ইসি সচিবালয়।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব।
“অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে গণমাধ্যম প্রতিনিধির সংলাপ শেষ করতে চাই। কমিশন আলোচনা করে শিগগির তারিখ চূড়ান্ত করবে। সুশীল সমাজের ৬০ জনের মতো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে; একইভাবে গণমাধ্যম প্রতিনিধির তালিকাও চূড়ান্ত হবে।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপ চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। সোমবার ৩৩ জন নাগরিক প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোয় বিপরীতমুখী আলোচনা থাকলেও সংলাপে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সেবিষয়টি টানেনি বলে তারা সন্তুষ্ট।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সবার শেষে?
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে কীভাবে, কখন আমন্ত্রণ জানাবে, তা নিয়ে ইসিতে চলছে আলোচনা।
দলের নিবন্ধন ক্রম ধরে ডাকা হবে , না কি নামের আদ্যক্ষর বিবেচনায় ডাকা হবে, প্রতিদিন একটি দল, না কি দুটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে- তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
সংলাপে দলের ৫ জন প্রতিনিধি থাকবে, না কি ১০ জন প্রতিনিধি ডাকা হবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে সবার শেষে ডাকারও কথা বলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার একজন নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, “গণমাধ্যমের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবো আমরা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শেষের দিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসব। এর আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে।”
তবে এসব বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ ২০১১ সালে নিবন্ধন ক্রম অনুযায়ী সংলাপে দলগুলোকে ডেকেছিল তৎকালীন ইসি। তবে আওয়ামী লীগ দু’দফা সময় পিছিয়ে নেয়। ওই সময় বিএনপি অংশ নেয়নি।