শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এসআই মোহাম্মদ মোফাক্কারুল ইসলাম শুক্রবার রাতে মামলাটি করেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী জয় এবং উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ নূরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, “মামলায় ৩০৭ ধারাও যোগ করা হয়েছে।”
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আইনজীবী জীবনানন্দ জয়ন্ত জানান, আটক চারজনকে মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে তোলা হতে পারে। সেখানে তাদের জামিনের আবেদন করা হবে।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের কোনো আবেদন করা হয়নি বলে আদালত পুলিশের এস আই মোজাম্মেল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোট ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি মিছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে এগোতে চাইলে শিশু একাডেমির সামনে পুলিশ আটকে দেয়।
মিছিলকারীরা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশ প্রথমে কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে; পরে জলকামান থেকে পানি এবং রবার বুলেটও ছোড়া হয়। সেখান থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে এই ভাস্কর্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে।
ভাস্কর্যটি সরানোর পক্ষে এর নান্দনিক ‘ত্রুটির’ পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহের কাছে অবস্থানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে তার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাকারীরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে মৌলবাদীদের সঙ্গে আপস করছে সরকার এবং এতে ধর্মীয় মৌলবাদ আরও উৎসাহিত হবে।
পুরনো খবর