রাজধানীর হাজারীবাগের ১৫৪ ট্যানারিকে পরিবেশের ক্ষতিপূরণের বকেয়া ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা পরিশোধে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন ৩০ মার্চ শুনবে আপিল বিভাগ।
Published : 27 Mar 2017, 12:46 PM
সেসঙ্গে ট্যানারি মালিকদের প্রত্যেককে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ধরে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে করা আবেদনেরও শুনানি হবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, “রিভিউ ও জরিমানা স্থগিতের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে। আগামী ৩০ মার্চ শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।”
শুনানিতে ফজলে নুর তাপস আদালতকে বলেন, এরই মধ্যে ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ বাবদ এককোটি ৪৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
আবেদন শুনে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত ১৯ মার্চ হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ট্যানারি কারখানা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর না করায় গত বছরের ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এ অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।
এরপর অর্থ আদায়ে ‘ব্যর্থতার’ কারণে শিল্প সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এরপর হাই কোর্টের আদেশে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়ে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানান; ট্যানারিগুলোর বকেয়া জরিমানা ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দেন।
ওই দিন আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জরিমানার বকেয়া টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন। ওই সময়ের মধ্যে টাকা জমা দেওয়া না হলে তাদের ‘সিরিয়াস কনসিকোয়েন্স ফেইস’ করতে হবে বলেও আদালত সতর্ক করেন।
এর আগে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গত বছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ।
পরে মালিকরা এ আদেশের রিভিউ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।