অসাবধানতায় দুদকের ভুল!

আদালতের ধরিয়ে দেওয়া তিন আসামিকে নিজেরা গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর পর সেই ভুল স্বীকার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2016, 12:55 PM
Updated : 8 Dec 2016, 01:57 PM

দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য‌্য স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার তিনজনকে হাই কোর্ট সংলগ্ন শিক্ষা ভবন থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়েছিল।

তারা হলেন- এক মামলার আসামি গুলশানের ফ্যাশন হাউস ভাসাভির চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল জামান মোল্লা; আরেক মামলার আসামি সিটি ব‌্যাংকের এভিপি মোসাব্বির রহিম।

এই তিনজন বুধবার তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ ওই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের দুদকের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর দুদকের টাস্কফোর্সের সদস্যরা আসামিদের নিয়ে যান বলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, যা নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছিল।

কিন্তু বুধবার বিকালে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে এই তিনজনকে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তারের কথা জানান প্রণব ভট্টাচার্য‌্য; তবে তাতে হাই কোর্টের কোনো প্রসঙ্গ উল্লেখ ছিল না।

ইয়াসির খান এবং কামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকাস্থ শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে অদ্য ০৭/১২/২০১৬ তারিখে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।”

সিটি ব‌্যাংকের কার্ড সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান মোসাব্বির রহিমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে একই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকাস্থ শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে অদ্য ০৭/১২/২০১৬ তারিখে দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।”

বৃহস্পতিবার প্রণব কুমার ভট্টাচার্য‌্য আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান, যাতে আগের দিনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে ভুলের কথা স্বীকার করা হয়।

এতে বলা হয়, “… গ্রেপ্তার সংক্রান্ত কমিশন হতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত তথ‌্যাদিতে অসাবধানবশত কিছু ভুল হয়েছে।

“প্রকৃতপক্ষে গতকাল বর্ণিত আসামিগণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য হাই কোর্ট বিভাগের ১৭-এ নং আদালতে আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে মাননীয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং মাননীয় বিচারপতি জেবিএম হাসান জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে দুদক কর্মকর্তাদের হাতে সোপর্দ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ প্রেক্ষাপটে দুদক কর্মকর্তারা আসমিদের গ্রেপ্তার করেন।”

ভুয়া জামানত প্রদান করে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ঋণের নামে মোট ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলার আসামি ইয়াসির খান ও কামাল মোল্লা।

মোসাব্বির রহিমের বিরুদ্ধে এফডিআর’র নামে গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রয়েছে।