ঋণ জালিয়াতিসহ অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দুই মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা দুজন ব্যবসায়ী ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে তুলে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 07 Dec 2016, 07:30 PM
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের দুদকের হাতে তুলে দেয়। পরে দুদকের টাস্কফোর্সের সদস্যরা আসামিদের নিয়ে যান।
দুই ব্যবসায়ী হলেন- গুলশানের তাহমিনা টাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসির আহমেদ খান এবং পরিচালক কাজী রেজওয়ান মনিরুল হক। অপর আসামি সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বির রহিম।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেসিক ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ইয়াসির ও রেজওয়ানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জয়নুল আবেদীনের করা ওই মামলার বাকি আসামিরা রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা।
ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে আসেন ইয়াসির ও রেজওয়ান। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দুদকের টাস্কফোর্সের হাতে তুলে দেয়।
আইনজীবী সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন আদালতে এই দুই আসামির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
সিটি ব্যাংকের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বিরও এদিন হাই কোর্টের এই বেঞ্চে আগাম জামিনের জন্য আসেন।বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ ২১১ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত ১৮ অগাস্ট মামলাটি দায়ের করেন একই ব্যাংকের আইন শাখার এক কর্মকর্তা।
আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকেও একইভাবে দুদকের টাস্কফোর্সের হাতে তুলে দেয় আদালত।
মুসাব্বিরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার।