ঈদের আগে ছুটি শুরুর প্রথম দিনের সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও বিকাল নাগাদ সেই চিত্র পাল্টে যেতে দেখা যায়; দিনভর ঠিক সময়ে ট্রেনগুলো ছেড়ে গেলেও বিকালে কয়েকটি ট্রেন স্টেশন ছাড়তে দেরি করেছে দুই ঘণ্টার বেশি।
Published : 09 Sep 2016, 11:11 PM
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে গাড়ির অপেক্ষায় অসংখ্য যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে স্টেশনের অপেক্ষাগার ও প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চগুলো ফাঁকা দেখা গেলেও বিকালে সব ছিল লোকে লোকারণ্য। তবে উপছে পড়া ভিড় না জমায় যাত্রীরা অনেকটা স্বস্তিতে দিনটি পার করেছে।
ঢাকার রাস্তায় পথে যানজটে পড়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ যাত্রীই বিকালে নির্ধারিত সময়ের ২/৩ ঘণ্টা আগে কমলাপুর স্টেশনে চলে আসেন।
স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে কিশোরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যেতে বিকাল ৪টায় স্টেশনে চলে এসেছেন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার এগার সিন্ধুর ট্রেনের যাত্রী পাভেল আহমেদ।
তিনি বলেন, রাস্তায় যানজট হতে পারে, সেই আশঙ্কায় একটু আগেই বাসা থেকে বের হয়েছেন তিনি।
স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও বেঞ্চিতে বসার জায়গা হওয়ায় বেশ স্বস্তিতেই সময় পার করছেন বলে জানান পাভেল।
বিকাল ৫টার দিকে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পত্রিকা পেতে বসে থাকতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ও সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী শাহীনকে। সন্ধ্যা ৭টার ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসে চড়ে দিনাজপুরে যাবেন তারা।
শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্য সময় বাসে করে বাড়ি যাই। এবার শুনলাম ট্রেনের আগাম টিকেটে পাওয়ার ক্ষেত্রে ভিড় কিংবা অন্য ঝামেলা কম। তাই এসে টিকেট কেটে রেখেছিলাম।”
একইভাবে পার্বতীপুর এক্সপ্রেস ঈদ স্পেশাল ট্রেন বিকাল ৫টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়ও এটি স্টেশনে এসে পৌঁছেনি।
যমুনা এক্সপ্রেসের সিটে এক ঘণ্টা ধরে বসে থাকা যাত্রী সুলতান বলেন, “স্টেশনে এসে তেমন ঝামেলা চোখে পড়েনি, সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। শুধু ট্রেনটা ছাড়তে দেরি করছে।”
স্টেশন মাস্টার নিপেন্দ্র চন্দ্র সাহা জানান, যমুনা ও উপকূল ট্রেনের একটি করে ‘ডেমারেজ’ হওয়ায় কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে কমলাপুরে আসছে। সেকারণে ছাড়তেও দেরি হচ্ছে।
দিনের অধিকাংশ ট্রেন কোচ সময় মতো ছেড়ে গেছে জানিয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন, “এবারের ঈদে এখনও তেমন সূচি বিপর্যয় হয়নি।”