এক মাস রোজার পর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে বাংলাদেশের মুসলমানরা।
Published : 07 Jul 2016, 09:39 AM
বরাবরের মত এবারও ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, যেখানে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, বয়সের লাখো মুসলমান।
বৃহস্পতিবার সকালে দলে দলে মানুষ রাজধানীর বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদে ছোটে ঈদের নামাজ আদায় করতে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়।
এর এক ঘণ্টা পর রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল ৮টায়।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের ইমামতিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি পেশার নানা বয়সী মানুষ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
এর আগে খুতবায় রোজা ও ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরেন মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।
জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকোলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।
ওই হামলার প্রেক্ষাপটে এবার সব ঈদ জামাত ঘিরেই ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যারা ঈদ জামাতে অংশ নিতে এসেছেন, তাদের যেতে হয়েছে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের তল্লাশির মধ্য দিয়ে।
ঈদের দিনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে আনন্দে। তবে ঈদের সকালে সে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসীকে পড়তে হয়নি।
ঈদ উপলক্ষে ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের সড়কগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। রাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে রয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে এক ঘণ্টা পর পর পাঁচটি জামাত হবে। প্রতিবারের মতো এবারও পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্য ঈদের নামাজ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।