ঢাকার উত্তরায় দিয়াবাড়ী খালে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আরও একটি কার্টনভর্তি বন্দুকের ম্যাগাজিন পাওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
Published : 19 Jun 2016, 12:45 PM
আগের দিন ওই খাল থেকেই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হক বলেন, রোববার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ওই কর্টন খুঁজে পান তাদের একজন ডুবুরি।
“ডুবুরি ইউসুফ ৩২টি ম্যাগাজিন ভর্তি একটি কার্টন উদ্ধার করেছেন। ঘটনাস্থলে এখনও ছয়জন ডুবুরি তল্লাশি কাজে নিয়োজিত আছেন।”
জঙ্গি দমনে সাত দিনের সাঁড়াশি অভিযান শেষ হওয়ার পরদিন একটি গাড়ি দেখে এক কনস্টেবলের ‘সন্দেহ হওয়ায়’ অনেকটা আকস্মিকভাবে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলির সন্ধান পায় পুলিশ।
উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ী খাল থেকে শনিবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ৯৭টি পিস্তল, ৪৬২টি ম্যাগাজিন, এক হাজার ৬০টি গুলি ও ১০টি বেয়নেট রয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে ১০৪টি গুলি তৈরির ছাচ।
যেসব ম্যাগাজিন শনিবার পাওয়া গেছে তার মধ্যে ২৬৩টি এসএমজির। আর গুলির মধ্যে ২২০টি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোর পিস্তলের এবং ৮৪০টি নাইন এমএম পিস্তলের।
মাসুদুর রহমান জানান, সম্প্রতি তুরাগ থানা থেকে দক্ষিণখান থানায় বদলি হওয়া এক কনস্টেবল শনিবার দুপুরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই খালপাড় দিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরে তুরাগ থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতটি ট্রাভেল ব্যাগে এসব অস্ত্র ও গুলি পায়।
তুরাগ থানার ওসি মাহবুব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়ি থেকে কোনো মৃতদেহ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ওই কনস্টেবল সন্দেহ করেছিলেন। ফোন পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ গেলেও তার আগেই ওই গাড়ি সেখান থেকে চলে যায়।
পরে খাল পাড়ে অল্প পানি রয়েছে এমন জায়গায় অস্ত্র-গুলি ভর্তি ব্যাগগুলো পাওয়া যায়। খালের পানিতে আরও অস্ত্র আছে কি না তা দেখতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশি শুরু করেন। রোববারও সেই তল্লাশি চলছে।
শনিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে তারা নিরিবিলি স্থানে সেগুলো ফেলে রেখে যায়।তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে।”