সাগরে নিম্নচাপ

চলতি মাসে দুই দফা তাপপ্রবাহের পর এবার সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদ মো. রুবাঈয়্যাৎ কবীর জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

“এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে,” বলেন তিনি।

বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, গভীর নিম্নবচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে অধিদপ্তর।

কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঊপকূলের আরও কাছাকাছি এলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষ বুলেটিনে নির্দেশনা ও সতর্কতা দেওয়া হবে।

এ মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহনাজ খান দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে মে মাসে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনও খুলনা, মংলা, যশোর ও পটুয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে দেশের সব বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে।