শ্রমিকদের পর নৌযান মালিকদের ধর্মঘটও প্রত্যাহার

বেতন বাড়ানোর ঘোষণা পেয়ে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও তাতে আপত্তি জানিয়ে পণ্যবাহী নৌযান চালানো বন্ধ রেখেছিলেন মালিকরা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2016, 11:24 AM
Updated : 2 May 2016, 11:24 AM

ছয় দিন পর সোমবার নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে বৈঠক করে পণ্যবাহী জাহাজের মালিকরা তাদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

টানা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। এতে আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়েন। ১০ দিন পর দেশে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হতে চলছে।

সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “বিকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজগুলো ভিড়বে এবং মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করবে।”

বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত ২১ এপ্রিল ধর্মঘট শুরু করেছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন। 

এরপর ২৫ এপ্রিল নৌমন্ত্রী শাজাহান খান শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দিলে তা মেনে নিয়ে শ্রমিকরা ধর্মঘট তুলে নেন।

২১ এপ্রিল শ্রমিকরা ধর্ঘট শুরু করলে লঞ্চশূন্য হয়ে পড়েছিল ঢাকার সদরঘাট (ফাইল ছবি)

কিন্তু ওই বৈঠকেই নতুন মজুরি নিয়ে আপত্তি জানান মালিক পক্ষের নেতারা। এরপর তারা নৌযান না চালানোর ঘোষণা দেন।  

সোমবার নৌ মন্ত্রণালয়ে মালিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাজাহান খান। তিনি মজুরি কাঠামো শ্রম মন্ত্রণালয়ে পুনর্বিবেচনার পর চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিলে মালিক পক্ষ তা মেনে নেয়।   

নৌযান মালিকদের নেতা মাহবুব উদ্দিন বলেন, “শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত বেতন নির্ধারণ কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবে, তাই মালিকরা মেনে নেবে।”

শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে নৌমন্ত্রী পণ্যবাহী জাহাজ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ বেতন ১০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৯ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিলেন।

মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর এখন শ্রমিকরা পুনরায় ধর্মঘট শুরু করলে কী হবে- জানতে চাইলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের ধর্মঘট আবার করার দরকার নেই।

“বেতন নির্ধারণ করবে শ্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি। আমি শুধু এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে, আমি যে বেতন ঘোষণা করেছি। তার থেকে কমার সম্ভাবনা খুবই কম।”

শ্রম মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে বলে জটিলতা হবে না বলে মনে করেন পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।

জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শুকুর মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিটি যে বেতন নির্ধারণ করবে। তাই আমরা মেনে নেব।”