শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে এক বছর আগে নেওয়া নিজেদের এক সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Published : 31 Jul 2015, 10:02 PM
সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ করে ২০১২ সালে সংসদে আইন পাস হলেও জাহাঙ্গীরনগরের সিনেট নিজেরাই তা ৬৭ করার সিদ্ধান্ত নেয় গতবছর।
শুক্রবার বিকালে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে সিনেটের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষকদের চাকরির বয়স বাড়ানো বা কমানোর এখতিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে নেই। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করে সরকার আইন পাস করেছে।”
২০১২ সালের ৮ জুলাই সংসদে পাস হওয়া ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক (অবসর গ্রহণ) (বিশেষ বিধান) বিল-২০১২’ নামের ওই আইনে বলা রয়েছে, অন্য কোনো আইনে যাই থাক না কেন, শিক্ষকদের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর।
দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে গত বছর ২ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এর দুই মাসের মাথায় ৩ মে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিনেটের বিশেষ সভায় অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করার প্রস্তাব পাস হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই আইনের বিষয়ে অবগতই ছিলেন না। সব ঠিকমত না জেনেই তারা নিজেরা বসে অবসরের বয়স বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। এ নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আলোচনাও হয়েছে।”
শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সেই ‘ভুল’ শুধরে নিল সিনেটের ‘জরুরি সভা’ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে এবং ২০১৪ সালের ৩ মে থেকেই তা কার্যকর ধরা হবে।