রাশিয়ায় কনসার্ট হলে নিহতদের স্মরণে শোক

দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। মানুষজন ফুল দিয়ে,মোমবাতি জ্বেলে নিহতের স্মরণ করছে।

রয়টার্সবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2024, 11:58 AM
Updated : 24 March 2024, 11:58 AM

মস্কোর উপশহর ক্রাসনোগর্স্কের এক সিটি হলের কনসার্টে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ১৩৩ জন নিহতের ঘটনায় একদিনের জন্য জাতীয় শোক পালন করছে রাশিয়া।

রোববার রাশিয়াজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। মানুষজন ফুল দিয়ে,মোমবাতি জ্বেলে নিহতের স্মরণ করছে। বাতিল করা হয়েছে বহু অনুষ্ঠান। টিভি চ্যানেলগুলোও তাদের শিডিউল পরিবর্তন করেছে।

ক্রোকাস সিটি শুক্রবার হামলা শুরুর সময় গান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সোভিয়েত আমলের রক সঙ্গীত দল ‘পিকনিক’। ৬২০০ দর্শক আসনের সিটি হলটি হামলার আগ মুহূর্তে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।

কনসার্ট উপভোগ করতে সমবেত দর্শকরা তাদের আসন গ্রহণ করার সময়ই একের পর এক গুলির শব্দের মধ্যে তারা চিৎকার করে বের হওয়ার দরজার দিকে ছুটে যান। হামলায় ১৫০ জন আহতও হয়েছে।

মস্কোর বাইরে ৬ হাজার ২০০ আসনের ক্রোকাস সিটি হল ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। নিহতদের স্মরণে সেখানে ফুল অর্পন করেছে বহু মানুষ। আহতদের জন্য মানুষকে মস্কোয় লাইনে দাঁড়িয়ে রক্ত দিতে দেখা গেছে।

এছাড়াও, মস্কোজুড়ে একটি মোমবাতির ছবি, হামলার তারিখ এবং ‘আমরা শোকাহত’ লেখা বহু বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে। মস্কো ছাড়া অন্যান্য নগরীতেও মানুষ নিহতদের স্মরণে ফুল দিচ্ছে।

হামলার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রোববার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “পুরো দেশ এবং সমগ্র জাতি এ ঘটনায় শোক করছে। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে তাদের সবার জন্য আমি গভীরভাবে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে পুতিন হামলাকারীদের সঙ্গে আইএস এর যোগ থাকা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

পুতিনের দাবি, কিছু হামলাকারী ইউক্রেইনে পালানোর চেষ্টা করে এবং ইউক্রেইনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সীমান্ত পেরোনোর পথও করে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেছেন, ১১ জনের মধ্যে চার বন্দুকধারী রয়েছে যারা কনসার্ট হল থেকে পালিয়ে মস্কো থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ব্রায়ানস্কের দিকে রওনা হয়েছিল। ওই অঞ্চলটি ইউক্রেইন সীমান্তে অবস্থিত। সেখানে ওই বন্দুকধারীদের লুকানোর ব্যবস্থা করে রেখেছিল ইউক্রেইন।

তবে ইউক্রেইন বরাবরই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন হামলার ঘটনার জন্য কেবল ইউক্রেইনকেই নয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকেও দুষেছেন।

বিশ্বজুড়ে বহু দেশ রাশিয়ায় এ হামলার ঘটনায় রুশ জনগণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।