আদালতের রায়ে ক্ষমতায় পুনর্বহাল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত অগাস্টে থাই সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2022, 03:41 PM
Updated : 30 Sept 2022, 03:41 PM

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রায়ুথ-চান ওচা থাকতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত।

এর আগে গত অগাস্টে সাংবিধানিক আদালত প্রায়ুথ চান ওচাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওচার আট বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিনা সেটি পর্যালোচনার (রিভিউ) জন্য বিরোধীদের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দিয়েছিল।

থাইল্যান্ডের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ৮ বছরের জন্য সীমাবদ্ধ। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ ছিল, প্রায়ুথ চান-ওচা ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্বে আছেন এবং তার মেয়াদসীমা অতিক্রম করেছেন।

কিন্তু শুক্রবারের রায়ে আদালত জানিয়েছে, প্রায়ুথ চান-ওচা তার ৮ বছরের মেয়াদ অতিক্রম করেননি।

থাইল্যান্ডের সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রথমে ক্ষমতা দখল করেন। এ সময় তিনি থাইল্যান্ডের জান্তা নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

২০১৯ সালে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৪ সাল থেকে তার ক্ষমতায় থাকার হিসাব করলে এতদিনে তার ৮ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার কথা।

তবে সাংবিধানিক আদালত রায়ে বলেছে, প্রায়ুথ চান ওচার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ শুরু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। কারণ, ওই বছরেই সংবিধান কার্যকর হয়েছে। ২০১৪ সালে সংবিধান কার্যকর ছিল না। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওচার আট বছর পূর্ণ হয়নি।

বিবিসি-র খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের এই সাংবিধানিক আদালতের রক্ষণশীল এবং রাজতন্ত্রপন্থিদের পক্ষে এবং সংস্কারবাদীদের বিপক্ষে রায় দেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। গত ১৬ বছরে এই আদালত তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে এবং তিনটি রাজনৈতিকদল বিলুপ্ত করেছে। এর সবই একপক্ষীয়ভাবে করা হয়েছে।

উপরন্তু আদালতে এখন কয়েকজন বিচারকই নিয়োগ করেছেন খোদ ওচা। ফলে এই বিচারকরা ওচাকে বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করেন না অনেকেই।