রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে ‘দখলদার’ সেনাদের ঘাঁটি এবং তাদের থাকার জায়গা সম্বন্ধে জানতে নাগরিকদের দ্বারস্থ হয়েছে ইউক্রেইন।
স্থানীয় যে বাসিন্দারা রুশ সেনাদের সহায়তা করছে তাদের নামধাম এবং ঠিকানাও দিতে বলেছে তারা।
শনিবার ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জেপোরোজিয়া অঞ্চলের এনেরহোদার শহর ও এর আশপাশের বাসিন্দাদের কাছে রুশ সেনা আর তাদের সাহায্যকারীদের অবস্থান জানাতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“দখলদার সেনাদের ঘাঁটি ও তাদের থাকার জায়গা এবং কমান্ডিং স্টাফের থাকার জায়গার সুনির্দিষ্ট অবস্থান জরুরিভিত্তিতে আমাদের জানান।
“স্থানীয় যে দালালরা শত্রুপক্ষে চলে গেছে এবং যাদের শক্রুপক্ষের প্রতি সহানুভূতি আছে তাদের থাকার এবং কাজ করার জায়গাসহ বিস্তারিত জানান,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
মার্চের শুরুর দিকেই রাশিয়া এনেরহোদারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। মে-তে তাদের নিয়োগ করা শহরের প্রধান এক বিস্ফোরণে আহতও হয়েছিলেন। ক্রেমলিন ওই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ অ্যাখ্যা দিয়েছিল।
জুনে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে এক বিস্ফোরণে রুশপন্থি এক কর্মকর্তা নিহত হন বলে জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা আরআইএ। গাড়ির কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণের পর ওই মাসেই অঞ্চলটির আরেক কর্মকর্তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
টেলিগ্রামে ইউক্রেইনের গোয়েন্দা অধিদপ্তর রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম এনেরহোদার শহরের যেসব পথ ব্যবহার করে সেগুলো সম্বন্ধে জানাতেও অনুরোধ করেছে।
“চলুন, একসঙ্গে দখলদারদের মাতৃভূমি থেকে তাড়াই,” সরাসরি ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ ও সিগনাল অ্যাপের সাহায্যে তথা পাঠাতে অনুরোধ জানিয়ে বলেছে তারা।
রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেইনের জনসংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের বেশি। শহরটির বেশিরভাগ বাসিন্দাই নিকটবর্তী দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটির অবস্থান জেপোরোজিয়া পরমাণু কেন্দ্রে। এটিই ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।