ইরান একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করেছে যার পাল্লা ১৬৫০ কিলোমিটর (১০২৫ মাইল) দীর্ঘ।
শুক্রবার ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের এয়ারোস্পেস বাহিনীর কমান্ডার আমিরালি হাজিজাদেহ একথা জানিয়েছেন।
“আমাদের ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বহরে যুক্ত করা হয়েছে,” রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে বলেছেন হাজিজাদেহ।
টেলিভিশনটিতে পাভেহ্ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের এটিই প্রথম ফুটেজ বলে জানিয়েছে তারা।
রাশিয়া ইউক্রেইনের যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করার পর তাদের এ পদক্ষেপে পশ্চিমাদের উদ্বেগ আরও বাড়বে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
পৃথক আরেক অনুষ্ঠানে হাজিজাদেহ ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড) ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাই।”
সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে ইরান প্রায়ই হুমকি দেয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০২০ সালে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় সোলেইমানি নিহত হন। এর কয়েকদিনের মধ্যে ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে হাজিজাদেহ বলেছেন, ‘দরিদ্র সেনাদের’ হত্যা করার কোনো উদ্দেশ্য ইরানের ছিল না।
“খোদর কসম, আমরা ট্রাম্পকে হত্যা করতে চাই। (সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) পম্পেও এবং সামরিক বাহিনীর যে কমান্ডাররা (সোলেইমানিকে হত্যার) আদেশটি দিয়েছিলেন তাদেরও হত্যা করা উচিত,” টেলিভিশনটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন হাজিজাদেহ।
ইরানি নেতারা প্রায়ই আরও কঠোর ভাষায় সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জানানো উদ্বেগ উপেক্ষা করেই ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী, বিশেষ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিস্তৃত করছে। এই কর্মসূচী পুরোপুরি আত্মরক্ষামূলক এবং চরিত্রে প্রতিরোধমূলক বলে তেহরান দাবি করে আসছে।