ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার তীব্র হামলা

ইউক্রেইনের সামরিক কমান্ড জানায়, রুশ সেনারা আভদিয়েভকার কাছে ইউক্রেইনের অবস্থানে হামলা চালালেও তাদের প্রচেষ্টা অনবরত ব্যর্থ হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2022, 06:32 AM
Updated : 15 August 2022, 06:32 AM

ইউক্রেইনের বাহিনীগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র গোলাবর্ষণ করে কয়েকটি শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে।

তবে তারা অনেকগুলো হামলা প্রতিহত করেছে বলে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।

ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দক্ষিণাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের এক ডজনেরও বেশি শহরে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন। এসব শহরের মধ্যে খেরসন অঞ্চলও আছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

Also Read: সম্পদ জব্দ করলে সম্পর্ক শেষ, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

অঞ্চলটি প্রধানত রুশ বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে ইউক্রেইনীয় বাহিনীগুলো ‘প্রত্যয়ের সঙ্গে’ বিভিন্ন এলাকা পুনরুদ্ধার করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রোববার ইউক্রেইনের সামরিক কমান্ড জানায়, রুশ সেনারা আভদিয়েভকার কাছে ইউক্রেইনের অবস্থানে হামলা চালালেও তাদের প্রচেষ্টা অনবরত ব্যর্থ হচ্ছে।

ইউক্রেইনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওলেগ ইসদানভ জানিয়েছেন, আদিয়েভকা ও পিস্কোসহ নিকটবর্তী শহরগুলোর পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।

অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, “সেখানে আমাদের গোলন্দাজ শক্তি পর্যাপ্ত নয় এবং পিস্কোকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বাহিনীগুলো আরও সমর্থন চেয়ে পাঠাচ্ছে। তবে শহরটি মূলত ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণেই আছে।”

রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাওয়া এসব ভাষ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

ইউক্রেইনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে প্রতিবেশী দেশটিতে তারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে মস্কো। এই যুদ্ধের কারেণে সৃষ্ট উত্তেজনায় মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া।

কিয়েভ জানিয়েছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সমৃদ্ধ জাপোরিঝজা ও প্রতিবেশী খেরসন প্রদেশ পুনরুদ্ধারের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করছে তারা।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর এসব এলাকা দখল করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রাশিয়া।