জেরুজালেমে ইহুদি পুণ্যার্থীদের বহন করা একটি বাসকে লক্ষ্য করে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
বন্দুকধারী পরে রোববার সকালে নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার প্রথম প্রহরের দিকে ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে কিং ডেভিড সমাধির বাস স্টপে এ গুলির ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারী পালিয়ে গেলে তাকে ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাতভর অভিযানও চালায়।
বাসে গুলির এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ সন্দেহ করা হচ্ছে বলে পুলিশের এক মুখপাত্র রাতেই স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
আহত ৬ পুরুষ ও এক নারীকে জেরুজালেমের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ঘটনাস্থলে সশস্ত্র পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষ পুণ্যার্থীদের বেশ কিছুক্ষূণ ওয়েস্টার্ন ওয়াল প্রাঙ্গণের বাইরে বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশের কর্মকর্তা ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছেন. গুলির ঘটনা খতিয়ে দেখছেন এবং পালিয়ে যাওয়া সন্দেহভাজন হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে, বলেছেন এক মুখপাত্র।
ধরা দেওয়া হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তার বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।
বন্দুকধারীর নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্টপেজে বাস আসার অপেক্ষায় ছিলেন হামলাকারী, পরে যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় তিনি গুলি ছোড়া শুরু করেন।
“ভাসটি যাত্রীতে ঠাসা ছিল। আমি কিং ডেভিডের সমাধিতে বাস থামাই এবং এরপর গুলির শব্দ শুনি। লোকজন চিৎকার করা শুরু করেছিল, বাসের ভেতরেও লোকজন আহত হয়েছে,” বলেছেন বাসটির চালক ডেনিয়েল কেনিয়েভস্কি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ ধরতে কাজ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ইহুদিদের কাছে খুবই পবিত্র স্থান ওয়েস্টার্ন ওয়ালে প্রতিবছরই প্রার্থনা করতে যান হাজারও ইহুদি।
গত বছরের মে মাসে ১১ দিনের যুদ্ধের পর গাজা ভূখণ্ড চলতি মাসের শুরুতেই সবচেয়ে বড় সংঘাত দেখেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) নেতাদের নির্মূলে নামলে এই সংঘাত শুরু হয়, যা অন্তত ৪৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়।
ইসরায়েলি অভিযানের পাল্টায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ রকেটও ছুড়েছে।