ইউক্রেইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিল রাশিয়া

রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বাহিনীগুলো জানিয়েছে, তারা সোভিয়েত আমলে নির্মিত কয়লাচালিত ভুগলেগিরস্ক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2022, 11:41 AM
Updated : 28 July 2022, 11:41 AM

রাশিয়ার বাহিনীগুলো ইউক্রেইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং দেশটির দক্ষিণের তিনটি অঞ্চলে ‘ফের ব্যাপক সেনা মোতায়েন’ করেছে বলে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন।

বুধবার রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বাহিনীগুলো জানিয়েছে, তারা সোভিয়েত আমলে নির্মিত কয়লাচালিত ভুগলেগিরস্ক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করেছে।

তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে ইউক্রেইনে এটি রাশিয়ার প্রথম উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দোনেৎস্ক অঞ্চলের ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে স্বীকার করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি অ্যারিস্তোভিচ।

রাশিয়া দক্ষিণাঞ্চলের মেলিতোপোল, জাপোরিজঝা ও খেরসন অঞ্চলে ফের সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এবারের সেনা মোতায়েন আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষামূলক বলে মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেইন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা খেরসন পুনরুদ্ধার করতে চায়। যুদ্ধের প্রথমদিকেই রুশ বাহিনীর হাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরটির পতন হয়েছিল।

এর আগে এক টুইটে ইউক্রেইনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের মহাসচিব ওলেক্সি দানিলভ জানিয়েছেন, রাশিয়া খেরসনের দিকে যাওয়ার পথগুলোতে ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা’ জমায়েত করেছে।

Also Read: রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ আরও কমেছে, দিশেহারা ইউরোপ

দক্ষিণাঞ্চলে থাকা ইউক্রেইনের বাহিনীগুলো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা শত্রুপক্ষের ৬৬ সেনাকে হত্যা করেছে এবং তিনটি ট্যাঙ্ক ও দুটি অস্ত্রের মুজত ধ্বংস করেছে। রাশিয়ার বাহিনীগুলো মাইকোলাইভ শহরে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালিয়েছে বলেও জানায় তারা।

তবে যুদ্ধক্ষেত্রের এ প্রতিবেদনে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

ইউক্রেইনের বাহিনীগুলো খেরসনের নিপ্রো নদীর গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুতে গোলাবর্ষণ করে সেটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনাদের নদী পার করাতে তারা পন্টুন সেতু ও ফেরি ব্যবহার করবে।

ইউক্রেইনকে ‘নব্য-নাৎসী’ মুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণ করতে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বলে দাবি রাশিয়ার। অপরদিকে রাশিয়া ইউক্রেইনে বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের।