গরু পাচার মামলায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।
এনডিটিভি জানায়, গরু পাচার মামলার তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিবিআই বিশাল বাহিনী নিয়ে বাসভবন ঘেরাও করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে নেওয়া হয় কলকাতার পথে।
পশ্চিমবঙ্গের গরু পাচার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য অনুব্রতকে কয়েকবার নোটিশ দিয়ে কলকাতার সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছিল আগেই।
তবে বেশির ভাগ নোটিশেরই তোয়াক্কা না করে নানা অজুহাতে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেননি তিনি। সিবিআই ১০ বার অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ দিয়েছে। বুধবারেও সিবিআই নোটিশের জবাবে অনুব্রত লিখিতভাবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপস্থিত হননি।
তার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, হাজিরার জন্য অন্তত দুসপ্তাহ সময় প্রয়োজন।এরপরই অনুব্রতর জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সিবিআই বুধবার তাদের সদরদপ্তরে রিপোর্ট পাঠায়। শুরু হয় অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। তবে ভেতর থেকে দরজা তালা বন্ধ থাকায় আধঘণ্টা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্মকর্তারা। পরে ভেতরে ঢোকেন তারা।
বাড়িতে যারা ছিলেন, তাদের সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। একদিকে, অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই কর্তারা । অন্যদিকে, বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারি মেমোতে সই করিয়ে বৃহস্পতিবারই সিবিআই গোয়েন্দারা বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে আদালতে তুলতে চান।
এনডিটিভি জানায়, এর আগে বোলপুরে অনুব্রতর চিকিৎসক তাকে ১৪ দিন বিছানায় থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফিস্টুলার চিকিৎসায় অনুব্রতর অস্ত্রোপচার করানোরও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালিত এসএসকেএম হাসপাতাল জানায়, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
সিবিআই গরুপাচার মামলায় চারটি চার্জশিট ফাইল করেছে এবং ১১ জনকে অভিযুক্ত করেছে। অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীও এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গরু পাচারকারী এবং অনুব্রতর মধ্যে অর্থ লেনদেন করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছে সিবিআই।