লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮, হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলা

ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরায়েল এসব হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2024, 07:26 AM
Updated : 28 March 2024, 07:26 AM

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর যোদ্ধাসহ অন্তত আটজন লেবাননি নিহত হয়েছে।

বুধবার এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, সীমান্ত গ্রাম তেয়ার হারফায় বিমান হামলায় পাঁচজন এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সীমান্ত শহর নাকুরার এক রেস্তোরাঁয় আরেকটি হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়।

লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের হেবারিয়ে এলাকায় ইসরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার জবাবে বুধবার ভোররাতে তারা দেশটির সীমান্ত শহর কিরিয়াত শমোনা লক্ষ্য করে কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে।

ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরায়েল এসব হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, বুধবার কিরিয়াত শমোনায় রকেটের আঘাতে এক কারখানা কর্মী নিহত হয়েছে। রকেট হামলার আগে এলাকাটিতে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হলেও প্রাণহানি এড়ানো যায়নি। 

কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরায়েল ফের দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কথিত লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালায়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ পরস্পরের দিকে গোলাবর্ষণ করে আসছে। ২০০৬ সালে দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে মাসব্যাপী এক যুদ্ধের পর থেকে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে উভয়পক্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।   

উভয়পক্ষই বলছে, তারা সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না আর কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুত। কিন্তু সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর চলতি সপ্তাহে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।  

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ইতোমধ্যে ৬ জনেরও বেশি মেডিকেল কর্মী ও উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Also Read: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি: নেই কোনো আশার আলো