রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে আছে: ক্রেমলিন

সামরিক অভিযান হিসেবে যা শুরু হয়েছিল পশ্চিমাদের অংশগ্রহণের কারণে তা এখন যুদ্ধে পরিণত হয়েছে বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2024, 10:12 AM
Updated : 22 March 2024, 10:12 AM

পশ্চিমা দেশগুলো কিইভের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় এবং তাদেরকে সমর্থন দেওয়ায় ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে পরিণত হয়েছে বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মন্তব্য করেছেন।

রুশ বার্তা সংস্থা আরটি জানিয়েছে, শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পেসকভ এমনটি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার আর্গুমেন্তে ই ফাকত্তে সংবাদপত্রকে পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী যেন কখনও রাশিয়ার নাগরিক ও ভূখণ্ডের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে না পারে তা নিশ্চিত করতে মস্কো তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবে।

দেশের এখন নতুন চারটি প্রশাসনিক বিভাগ (ফেডারেল সাবজেক্ট) আছে জানিয়ে পেসকভ বলেন, কিইভ বাহিনী থেকে এগুলোকে রক্ষা করতে হবে এবং পুরোপুরি স্বাধীন করতে হবে।

পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া তার সীমান্তে এমন কোনও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না যারা বিশেষ করে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ এমনকি রাশিয়ার নতুন ভূখন্ড দোনেৎস্ক, লুগান্সক পিপলস রিপাবলিক, জাপোরোজিয়ে এবং খেরসন অঞ্চল দখল করবে বলে দাবি করে।

পেসকভ আরও বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বিশেষ সামরিক অভিযান হিসাবে সংঘাত শুরুর পর পশ্চিমরা সমন্বিতভাবে ইউক্রেইনের পক্ষ হয়ে এতে জড়িয়ে পড়ামাত্রই এ অভিযান আমাদের জন্য যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।”

তবে ইউক্রেইন সংঘাত কার্যত যুদ্ধে রূপ নিলেও রাশিয়ায় তা আইনত বিশেষ সামরিক অভিযান হিসাবেই নথিভুক্ত আছে এবং এক্ষেত্রে কোনও বদল ঘটেনি বলে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ফোন আলাপে জানিয়েছেন পেসকভ।

সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকে কিইভ বাহিনীর হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ১৩ হাজার বিদেশি নাগরিক।

মস্কোর ভাষ্যমতে এরা ভাড়াটে যোদ্ধা। এই যোদ্ধাদের ৫ হাজার ৯৬২ জনকে নির্মূল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। তারা বলছে, এই যোদ্ধাদের বেশিরভাগই এসেছে পোল্যান্ড, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, যুক্তরাজ্য, রুমানিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স থেকে।

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সেবা বিভাগের (এসভিআর) প্রধান সের্গেই নারিশকিন এ সপ্তাহের শুরুর দিকে দাবি করেছেন যে, ফ্রান্স ইউক্রেইনে তাদের সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং কিইভের জন্য লড়তে ২০০০ সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁও ইউক্রেইনে নেটো সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন।

মস্কো সতর্ক করে বলে এসেছে যে, এমন ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাতে রাশিয়া এবং পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাত বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা হবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভাষ্যমতে, ‘পূর্ণমাত্রার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে এক কদম দূর’।