জুলাইয়ে ধারণার চেয়েও বেশি ধার করেছে যুক্তরাজ্য

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক উল্লম্ফন দেখা গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2022, 11:10 AM
Updated : 19 August 2022, 11:10 AM

যুক্তরাজ্য গত জুলাই মাসে ধারণার চেয়েও বেশি ধার করেছে বলে দেশটির সরকারি হিসাবে দেখা গেছে।

জ্বালানির আকাশচুম্বী মূল্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের আরও সহায়তা দেওয়া যে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য হবে, জুলাইয়ের বাড়তি ধারই তা দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) শুক্রবার জানিয়েছে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক বাদেই সরকারি খাতের ধার দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ডে (৫৮৯ কোটি ডলার) ।

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক উল্লম্ফন দেখা গেছে।

অর্থনীতিবিদদের মধ্যে করা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের ধার ২৮০ কোটি পাউন্ড হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। দেশটিতে সাধারণত জুলাইয়ে জনগণের দেওয়া কর কোষাগারে জমা হতে শুরু করে।

চলতি এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রিটেন ধার করেছে সাড় ৫ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় এক হাজার ২১০ কোটি পাউন্ড কম হলেও ২০১৯ এর এপ্রিল-জুনের তুলনায় তিন হাজার ২৬০ কোটি পাউন্ড বেশি।

এই ধার মার্চে বাজেট রেসপনসিবিলিটি ওয়াচডগের দপ্তর (ওবিআর) যে ধারণা দিয়েছিল, তার চেয়েও ৩০০ কোটি পাউন্ড বেশি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে থাকা উভয় প্রার্থীই নির্বাচিত হলে প্রত্যেক পরিবারকে আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কর কমাবেন। এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে আরেক প্রার্থী, সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলছেন, কর কমালে তা মূল্যস্ফীতি আরও উসকে দেবে।

যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি পারিবারিক আয়ে আঘাত হানার পাশাপাশি সরকারি ঋণে সুদের বিলও বাড়াচ্ছে।

যুক্তরাজ্য তার ঋণের সুদবাবদ জুলাইয়ে ৫৮০ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

ওএনএসের তথ্য দেখাচ্ছে, জুলাইয়ে সবমিলিয়ে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে আর আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

আগের বছরের তুলনায় এপ্রিল-জুলাই সময়ে ব্যয় এক দশমিক ৫ শতাংশ বেশি হয়েছে, আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ।