২০২৩ সালে করা এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে মাত্র ২৪ শতাংশ শিক্ষক তাদের কাজ নিয়ে খুশি।
Published : 11 Feb 2024, 04:38 PM
অভিভাবকদের নানা অভিযোগ ও হুমকিতে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে শেষ পর্যন্ত স্কুলেই আত্মহত্যা করলেন এক নারী শিক্ষক। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার। ২৩ বছরের ওই শিক্ষিকার লাশ শ্রেণীকক্ষের আলমারির মধ্যে খুঁজে পান তার সহকর্মীরা। এই ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা বাড়ানোর দাবিতে সোমবার দেশজুড়ে কয়েক হাজার শিক্ষক বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, তারা প্রতিনিয়ত অভিভাবকদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। যারা দিন নেই রাত নেই, এমনকি ছুটির দিনে তাদের ফোন করে ক্রমাগত অন্যায্য অভিযোগ করতে থাকেন।
শিক্ষকরা বলছেন, তাদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ‘শিশু নিপীড়নকারী’ হিসেবে বদনামের শিকার হওয়া। এই আতঙ্কের কারণে তারা না পারছেন তাদের শিশুদের শৃঙ্খলা শেখাতে, না পারছেন ক্লাসে তারা মারামারি করলে তা থামাতে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে সে দেশে পাস হওয়া একটি আইনের কারণে অভিভাবকরা শিক্ষকদের এভাবে হেনস্তা করার সুযোগ পাচ্ছে। ওই আইনে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নিপীড়নের অভিযোগ উঠলেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত হবেন। এই আইনের সুযোগই নিচ্ছেন অভিভাবকরা।
২০২৩ সালে করা এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে মাত্র ২৪ শতাংশ শিক্ষক তাদের কাজ নিয়ে খুশি। যেখানে ২০০৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৮ শতাংশ। বর্তমান এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান শিক্ষকরা। সংবাদ সূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)