যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর এবার সেখানে গেছেন দেশটির কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।
তাইপেতে যুক্তরাষ্ট্রের অনানুষ্ঠানিক দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলটি সোমবার পর্যন্ত সেখানে থাকবেন।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যদিও স্বশাসিত দ্বীপটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র ওয়াশিংটন।
১২ দিন আগে পেলোসির তাইওয়ান সফর যেমন পূর্ব নির্ধারিত সূচিতে ছিল না তেমনি পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই যু্ক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের এই প্রতিনিধি দলটি তাইওয়ান গেছে।
পেলোসির সফরের বিরুদ্ধে ‘কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়ার’ অংশ হিসেবে তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে। যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য চীন প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে রেখেছে।
তাইওয়ানের বেলায় চীন তাদের ‘এক চীন নীতি’ অনুসরণ করে এবং বাকি বিশ্ব তা অনুসরণ করবে বলে আশা করে।
চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক তাদের ‘এক চীন নীতির’ উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
পেলোসির তাইওয়ান সফরে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। তাদের অভিযোগ, এর ফলে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদিরা উস্কানি পাবে।
পেলোসির সফর ছিল তাইওয়ানে দীর্ঘ ২৫ বছর পর এত শীর্ষ পর্যায়ের কোনো মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম সফর।
পেলোসির সফরের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীন ছয় দিনের যে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছিল তা শেষ হয়েছে।
কিন্তু তাইওয়ানের কাছে এখনো নিয়মিত চীনের যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ দেখা যাচ্ছে।
তাইপের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোববার ভোরেও তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীনের ২২টি যুদ্ধবিমান ও ছয়টি যুদ্ধজাহাজ তারা শনাক্ত করেছে।
তাইপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোববারই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটির ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে দলটিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে দেখা যাচ্ছে।
‘আমেরিকান ইনস্টিটিউশন ইন তাইওয়ান’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে ভ্রমণের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দলটি তাইওয়ান গেছে।
দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেমোক্রেটিক সেনেটর ইডি মারকি। তারা তাইওয়ানের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন।
সোমবার দলটির তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা।
সাইয়ের কার্যালয় থেকে এ বিবৃতিতে বলা হয়, এক মাসের মধ্যে আমেরিকার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের দ্বিতীয়বারের মত তাইওয়ান সফর দেশটির তাইওয়ানের প্রতি ‘দৃঢ় সমর্থন’ থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।