"কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইউনকে তাৎক্ষণিক ভাবে বরখাস্ত প্রয়োজন,” বললেন হান।
Published : 06 Dec 2024, 12:50 PM
দক্ষিণ কোরিয়ার পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার দাবি তুলেছেন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, সামরিক আইন জারির চেষ্টার কারণে ইউনকে যত দ্রুত সম্ভব বরখাস্ত করা উচিত।
“কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইউনকে তাৎক্ষণিক ভাবে বরখাস্ত প্রয়োজন,” বলেন হান।
কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া আকস্মিক এক ভাষণে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধের মধ্যে এমন পদক্ষেপের ঘোষণা এসেছিল।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন উপস্থিত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সামরিক আইন প্রত্যাহার করার একটি প্রস্তাব পাস করেন।
এদের মধ্যে ইউনের দলের ১৮ সদস্যের সবাই ছিলেন। প্রেসিডেন্ট তখন তার ঘোষণা বাতিল করতে বাধ্য হন।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি শনিবার সন্ধ্যায় একটি অভিশংসন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
পাশাপাশি বিরোধী দল এবং কর্মীদের দায়ের করা বিদ্রোহের দাবির ভিত্তিতে পুলিশ ইউনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার পার্লামেন্টে পিপলস পাওয়ার পার্টির বৈঠকের পর নেতা হান ডং-হুন জানান, সামরিক আইন জারি করার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে, তিনি স্পষ্টভাবে অভিশংসনের আহ্বান জানাননি বা ব্যাখ্যা চাওয়া হলে সাংবাদিকদের জবাব দেননি।
ইউনের অভিশংসনের সমর্থক ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা চো কিয়ং-তাই সাংবাদিকদের বলেন, “দলের প্রতিটি আইনপ্রণেতাকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা জনগণের পক্ষ নিতে চায় নাকি সামরিক আইন বাহিনীর সহযোগী হতে চায়।”
অন্যরা অবশ্য বলেছেন, তারা ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের অভিশংসনের মতো পুনরাবৃত্তি চান না।
পাঁচবারের ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা ইউন স্যাং-হিউন বলেন, তিনি এখনও অভিশংসনের বিরোধিতা করছেন। অভিযোগ করেছেন, হান দলের সিনিয়র সদস্যদের সাথে যথেষ্ট পরামর্শ করেননি।
এদিকে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মুখপাত্র আন গুই-রিয়ং বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন জনগণ এরই মধ্যে ইউনকে মানসিকভাবে অভিশংসিত করেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত গ্যালাপ কোরিয়ার সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ইউনের প্রতি সমর্থনের হার ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে তার প্রতি সমর্থনের হার ছিল ১৬ শতাংশ।