শুক্রবার সেখানে প্রায় ৩ হাজার আলেমের একটি বড় সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি ভাষণ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তালেবান কর্মকর্তারা।
‘জাতীয় ঐক্য’ নিয়ে আলোচনা করতে এই সমাবেশ ডাকা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সাংবাদিকদেরও সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
কেবল আখুন্দজাদার ভাষণের অডিও রেকর্ডিং সম্প্রচার করা হয়েছে। তার কোনও ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি। সমাবেশে আখুন্দজাদার ভাষণ দেওয়ার কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতা হর্ষধ্বনি দিয়েছে।
ভাষণে আখুন্দজাদা গতবছর তালেবানের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের প্রশংসা করেন। “এটি কেবল আফগানদের জন্য গর্বের বিষয় নয় বরং বিশ্বজুড়ে সব মুসলিমের জন্যও গর্বের বিষয়”, বলেন তিনি।
নারীদের প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার প্রসঙ্গেও আখুন্দজাদা কথা বলেন। আফগান তালেবান শাসকরা জনস্মুখে নারীদের মুখ ঢেকে রাখা নিয়ে অতিসম্প্রতি যে নিয়ম চালু করেছে, তা নিয়েই বিশেষত বিশ্বে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপরিচালিত বখতার বার্তা সংস্থার জানায়- আখুন্দজাদা বলেছেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, আমরা এখন একটি স্বাধীন দেশ। আমাদেরকে কোনও নির্দেশ দেওয়া [বিদেশিদের] উচিত নয়। এটি আমাদের ব্যবস্থা। আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমরা নেব।”
বিবিসি আফগান সার্ভিসে আখুন্দজাদার এই সমাবেশের সমালোচনা করেছেন অনেক নারী এবং পুরুষও। এই সমাবেশে সবার প্রতিনিধিত্ব নেই এবং এটি তালেবানের নিজেদের শাসনকে বৈধতা দেওয়ারই চেষ্টা বলে সমালোচনা করেছেন তারা।
দক্ষিণ হেলমান্দ প্রদেশের একজন বলেন, “তারা কেবল মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য সমাবেশে জড়ো হয়েছে।”
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ্যে এসেছিলেন আখুন্দজাদা। সে সময় কান্দাহারে দারুল উলুম হাকিমা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছিলেন তালেবানের এই নেতা। সেবার মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে প্রকাশ্যে এসেছিলেন তিনি।
‘বিশ্বাসীদের নেতা’ বা ‘আমির উল মুমিনীন’ পদবীধারী আখুন্দজাদাকে গতবছর অগাস্টে তালেবানের আফগানিস্তান দখলের পর জনসমক্ষে দেখা না যাওয়ায় তার মৃত্যুর গুজব ডালপালা মেলেছিল।
কট্টরপন্থি তালেবান গোষ্ঠীর রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামরিক যে কোনো বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আখুন্দজাদা এ পদে আছেন ২০১৬ সাল থেকে। ওই বছর তৎকালীন তালেবান নেতা মোল্লা মানসুর আখতার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর আখুন্দজাদা নেতৃত্বে আসেন।