মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন একথা বলেন।
জার্মানিতে জি-৭ সম্মেলনের পর জনসন এ সাক্ষাৎকার দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাশিয়ার আগ্রাসনকে ‘বিষাক্ত পৌরুষত্বের’ এক নিখুঁত উদাহরণ’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।
ইউক্রেইনে আগ্রাসনকে ‘উন্মত্ত পৌরষপূর্ণ’ যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বেশি নারীকে ক্ষমতায় আসীন করার আহ্বান জানান।
বরিস জনসন বলেন, “পুতিন যদি নারী হতেন, স্পষ্টতই তিনি তা নন, কিন্তু যদি হতেন, তাহলে আমি সত্যিই মনে করি না যে, তিনি এভাবে উন্মত্ত-পৌরুষপূর্ণ একটি আগ্রাসী যুদ্ধ ও সহিংসতায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন।”
“আপনি যদি বিষাক্ত পৌরুষের নিখুঁত উদাহরণ চান, তাহলে তা হচ্ছে সেটিই, যা তিনি (পুতিন) ইউক্রেইনে করছেন।”
জি-৭ নেতারা ইউক্রেইন যুদ্ধের অবসান দেখতে মরিয়া বলেও জানান জনসন। কিন্তু তিনি বলেন, বর্তমানে মস্কো এবং কিইভের মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করার মতো কোনও চুক্তির দেখা মেলেনি।
পশ্চিমাদের ইউক্রেইনকে সামরিক সহায়তা করে যেতে হবে উল্লেখ করে জনসন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কখনও আলোচনায় বসলে ইউক্রেইন যাতে শক্ত অবস্থানে থাকতে পারে সেজন্যই তাদেরকে এই সহায়তা করা দরকার।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এইসব কথা বলেন। এ সম্মেলনে নেতারা রাশিয়াকে সরাসরি নিজেদের ‘নিরাপত্তায় হুমকি’ আখ্যা দিয়ে এ হুমকি মোকাবেলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।