কয়েকমাসের মধ্যে প্রথম কোভিড সংক্রমণ মুক্ত বেইজিং-সাংহাই

কঠোর লড়াই শেষ। কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে ‘জয়’ দেখছে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাই।

>>রয়টার্স
Published : 28 June 2022, 04:01 PM
Updated : 28 June 2022, 04:01 PM

গত ফেব্রুয়ারির পর প্রথম এ দুই নগরীতে স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ কোভিড আক্রান্ত হয়নি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অর্থাৎ, সোমবার দুই নগরীতে নতুন কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। গত সপ্তাহ থেকেই অবশ্য উভয় নগরীতে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক অংকে নেমে এসেছিল।

সেকারণে সাংহাই থেকে ধীরে ধীরে কোভিড নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া শুরু হয়। সাংহাই এখন স্থানীয়দের রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অনুমতি দিতে চলেছে। আর বেইজিং কর্তৃপক্ষ কিছু অবকাশ যাপন কেন্দ্র পুনরায় খুলে দিতে চাইছে।

গত শনিবার সাংহাইয়ে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান লি কিয়াং কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের জয় ঘোষণা করে বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সাংহাইকে রক্ষা করার যুদ্ধে জিতে গেছে।”

ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সাংহাইয়ে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে সরকার ‘জিরো কোভিড’ নীতি গ্রহণ করে। দুই মাস ধরে নগরীতে কঠোর লকডাউন জারি ছিল। এ মাসের শুরুতে ওই লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়।

তবে লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও কর্তৃপক্ষ সতর্ক ছিল এবং সরকারের তথাকথিত ‘জিরো কোভিড’ নীতিতে অবিচল ছিল। যাতে কোথাও আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করতে সঙ্গে সঙ্গে তা আটকানো যায়।

বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান চাই কি বেইজিং ডেইলিকে বলেন, ‘‘আবারও যদি নগরীতে নতুন করে কোনও প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তবে বেইজিং শুরুতেই এবং দ্রুততার সঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়বে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে রোগের সংক্রামণ চ্যানেল ভেঙে দেবে।

“বেইজিং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন বাধা তৈরি করবে।”বেইজিং ডেইলি অবশ্য সোমবার সকালে চাই কি’র বরাত দিয়ে প্রকাশ করা খবরে বলেছিল, ‘আগামী পাঁচ বছর’ বেইজিংয়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা নানা পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে।

পরে অবশ্য তারা ওই খবর সরিয়ে ফেলে এবং দৈনিক পত্রিকাটির প্রধান ঝাও জিনজিয়াং বলেন, এটা তাদের ‘ভুল ছিল’। তবে তারা যতই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করুক কিছু কিছু মানুষের মনে এটি নগরীর প্রকৃত অবস্থা নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো তে একজন লেখেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই এটি কোনো ভুল নয়। বেইজিং ও সাংহাইয়ে নতুন রোগী পাওয়া না গেলেও চীন জুড়ে ২৭ জুন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ২২ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে।