শুক্রবার শেষ বিকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৯৮টি মৃত্যু নথিবদ্ধ হয়েছে, যা দুই দিন আগের রেকর্ড ৮৭ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে গেছে।
সবমিলিয়ে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে আড়াই কোটি জনসংখ্যার অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ৩৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ৪০ হাজারের কিছু বেশি দৈনিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এটি প্রায় এক মাসের মধ্যে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত হওয়া রোগীর সর্বনিম্ন সংখ্যা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অতি দ্রুত ছাড়ানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে গত চার সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণ’ ঘটে, এ সময় প্রায় ২০ লাখ রোগী শনাক্ত হয়। তার আগ পর্যন্ত মহামারী শুরুর পর থেকে দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ায় মাত্র ৪ লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
তবে গত কয়েকদিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নতুন রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল থাকায় পরিস্থিতির মোড় ঘুরছে, এমন আশা বাড়তে শুরু করেছে।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জন জেরার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সাধারণভাবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে আর আমরা (হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা) আরও কমবে বলে আশা করছি।”
রাজ্যটিতে টানা তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা কমছে।
কিন্তু রাজ্যটির ৫০ লাখ বাসিন্দাকে সতর্ক করে জেরার্ড বলেছেন, মহামারী শেষ হতে এখনও অনেক দূর।
“তাই বাইরে যাবেন না এবং এখনই উদযাপন শুরু করবেন না, তবে এই পর্যায়ে খবর হচ্ছে পরিস্থিতি ভালো,” বলেন তিনি।
মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৪০০ জন হলেও তারপর থেকে তিন দিন ধরে প্রায় ৫ হাজারের নিচে আছে।
সবেচেয়ে জনবহুল রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে নিবিড় পরিচর্যায় কেন্দ্রে যত লোক থাকবে বলে ভাবা হয়েছিল রোগীর সংখ্যা তার চেয়ে কম ছিল।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি টিকা দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। দেশটির পূর্ণবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৩ শতাংশের বেশি দুই ডোজ টিকা ও বৃদ্ধদের দুই তৃতীয়াংশ বুস্টার ডোজও পেয়েছেন।