সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেছেন।
ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে রাশিয়া লাখখানেক সেনা মোতায়েনের পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, ইউক্রেইনে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো; যার উদ্দেশ্য হচ্ছে, নেটো জোটে ইউক্রেইনের অন্তর্ভুক্তি ঠেকানো।
তবে রাশিয়া বরাবরই এ ধরনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে।
ডেনমার্র্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুপ্পে কফোড সাংবাদিকদের বলেন, “রাশিয়া আবার ইউক্রেইনে হামলা চালালে আমরা ব্যাপক এবং রাশিয়া আগে কখনও দেখেনি এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত আছি এতে কোনও সন্দেহ নেই।”
তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোন কোন খাত পড়বে সে সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। জুপ্পে বলেন, “রাশিয়ার (প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) জানা উচিত যে, ইউরোপে সীমান্ত পরিবর্তনের জন্য উস্কানি এবং সামরিক শক্তি ব্যবহার করলে এর মূল্য খুবই চড়া হবে… আমরা সবচেয়ে মারাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত। আর এই নিষেধাজ্ঞা ২০১৪ সালে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চেয়েও মারাত্মক হবে।”
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেওয়ার পর ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র দুয়ে মিলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছিল রাশিয়ার জ্বালানি, ব্যাংকিং এবং প্রতিরক্ষা খাত।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের ডেমোক্র্যাটরা রাশিয়ার কর্মকর্তা, সামরিক নেতা এবং ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে শাস্তির মুখে ফেলতে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। ওদিকে, অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সব বিকল্পই হাতে আছে।
অন্যদিকে, লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেন অ্যাসেলবর্ন বলেছেন, “যুদ্ধ যাতে শুরু না হয় সেজন্য আমরা যা কিছু করতে পারি তা করার জন্য প্রস্তুত আছি।”