প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের আগেও জনসনের কার্যালয়ে চলেছে মদের পার্টি

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। ২০২০ সালে লকডাউনের মধ্যে মদপানের পার্টিতে উপস্থিত থাকা নিয়ে শোরগোলের মুখে জনসন ক্ষমা চাওয়ার পরই আগুনে ঘি ঢালার মতো সামনে এসেছে আরেক পার্টি কেলেঙ্কারির ঘটনা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2022, 02:51 PM
Updated : 14 Jan 2022, 05:36 PM

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতবছর ১৬ এপ্রিলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান থাকার সময়ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে কর্মীরা আরও দুটো মদের পার্টি করেছিলেন।

ওই সময়ও বদ্ধ জায়গায় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে তখন চলছিল জাতীয় শোক এবং পরেরদিন (১৭ এপ্রিল) ছিল ফিলিপের শেষকৃত্য।

দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীরা কাছের একটি সুপারমার্কেট থেকে কাাঁড়ি কাঁড়ি মদ কিনে আনেন। তারা নেচে-গেয়ে পার্টি উদ্‌যাপন করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি চেকার্সে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তবে জাতীয় শোক দিবস এবং জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে এমন পার্টির কারণে জনসন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে বিরোধীদল লেবার পার্টির তুমুল সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জনসন। লেবার নেতা কির স্টারমার বলেছেন, “এতেই বোঝা যায়, বরিস জনসন কতটা গুরুতরভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অবমাননা করেছেন।”

প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যের আগে দিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে ওই পার্টির জন্য জনসন রানি এলিজাবেথের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই ক্ষমাই যথেষ্ট মনে করছেন না স্টারমার। বরং তার কথায়, জনসনের পদত্যাগ করা উচিত।

লেবার পার্টির আরেক নেত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, “ডাউনিং স্ট্রিটের এমন কর্মকাণ্ডে আমি বাকরুদ্ধ।” জনসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার নিজ দলের আইনপ্রণেতারাও। এক জনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা বলেছেন, "জনসনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।"

জনসনের আরেক সাবেক সমর্থক বলেছেন, “তার (জনসন) মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার সঠিক সময় এখনই।”

জনসন এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন চলার সময় সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে মদপানের পার্টি করার জন্য এরই মধ্যে ক্ষমা চাইলেও তাতে চিড়ে ভেজেনি।

জনসনের নিজ দলের এমপি’রাই প্রকাশ্যে তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। সেই ক্ষোভ প্রশমন না হতেই আবার তোপে বাড়তি চাপের মুখে পড়লেন জনসন।