বিবিসি জানায়, নতুন বছরের উদ্বোধনী এক বিবৃতিতে গেব্রিয়েসুস “সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদের” বিরুদ্ধে বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
চীনে রহস্যজনক এক ধরনের নিউমেনিয়া শনাক্ত হওয়ার কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম অবগত হওয়ার দুইবছর পর এই মন্তব্য করলেন সংস্থাটির প্রধান।
বিশ্বে কোভিড শনাক্তের সংখ্যা এখন ২৮, ৬৫, ৯৭,৬৯১ জন। আর মারা গেছে ৫৪, ৩১, ৮৬০ জন। বিশ্বজুড়ে মানুষ নতুন বছর উদযাপন করছে নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালেই।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে অনেক দেশই লোক সমাগম নিরুৎসাহিত করছে, সীমান্ত বন্ধ করেছে। মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া এখনও অনেক দেশেই বাধ্যতামূলক।
এতকিছুর পরও ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস বলছেন ইতিবাচক কথাই। তার মতে, এখন কোভিড-১৯ চিকিৎসার আরও অনেক বেশি হাতিয়ার আমাদের কাছে আছে।
তবে কোভিড টিকা বিতরণে চলমান অসমতা ভাইরাস সংক্রমণও চলতে থাকার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
গেব্রিয়েসুস বলেন, “কিছু দেশের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা মজুদ করার প্রবণতার কারণে টিকা বিতরণে সমতা ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার মোক্ষম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”
“টিকায় অসমতা যতদিন চলবে ততদিন ভাইরাস সংক্রমণও চলতে থাকার ঝুঁকি বেশি থাকবে, তখন হয়ত আমরা তা প্রতিহত করতে পারব না এবং পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা ধারণাও করতে পারব না।”
“আমরা (টিকায়) অসমতার ইতি টানতে পারলে, মহামারীরও সমাপ্তি ঘটাতে পারব,” বলেন গেব্রিয়েসুস।