চীনে উপসর্গধারী রোগী বাড়ছে, শিয়ানে চলছে গণহারে পরীক্ষা

চীনে টানা চতুর্থদিনের মতো স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত উপসর্গধারী কোভিড রোগী বাড়তে দেখা গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2021, 07:14 AM
Updated : 28 Dec 2021, 07:14 AM

লকডাউনে থাকা এক কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার শহর শিয়ানের সংক্রমণ পরিস্থিতিও কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শহরটিতে সোমবার থেকে বাসিন্দাদের গণহারে কোভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শিয়ানে সর্বশেষ একদিনে উপসর্গধারী ১৭৫ কোভিড রোগীর সন্ধান মিলেছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে। আগের ২৪ ঘণ্টায়ও এই সংখ্যা ছিল ১৫০।

সব মিলিয়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে সোমবার পর্যন্ত শহরটিতে মোট ৮১০ উপসর্গধারী রোগী পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কারও দেহে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়নি।

চীনে এখন পর্যন্ত যে অল্প কজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, তার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থী।

সোমবার চীনের মূল ভূখণ্ডে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ও উপসর্গধারী ১৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

একদিন আগেও দেশটির মূল ভূখণ্ডে উপসর্গধারী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬২।

শুক্রবার থেকে টানা চারদিন দেশটিতে রোগীর ঊর্ধ্বগতিও দেখা যাচ্ছে। উপসর্গধারী ও উপসর্গবিহীন রোগীর তালিকা আলাদা করার পর চীনে সোমবার শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা গত বছরের মার্চের শেষদিকের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে গুচ্ছ সংক্রমণের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ রোগী দেখা যাচ্ছে তার তুলনায় শিয়ান এবং চীনের অন্যত্র রোগীর সংখ্যা কম হলেও দেশটির কর্তৃপক্ষ প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া শহরগুলোতে মানুষজনের চলাফেরা ও শহর ছাড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়াসহ সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয়ভাবে জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলছে।

গত সপ্তাহ থেকে শিয়ানের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষ বা তাদের নিয়োগকর্তার ছাড়পত্র ছাড়া শহরের বাইরে যেতে পারছেন না। 

সোমবার থেকে গণহারে শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় কর্মকর্তারা লোকজনকে জরুরি কেনাকাটার জন্য ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন।

প্রয়োজনীয় নয় এমন যানবাহনের সড়কে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চীন সোমবার করোনাভাইরাসে দেশটিতে নতুন কারও মৃত্যুর খবর দেয়নি; দেশটিতে মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৬৩৬ জনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার পর্যন্ত চীনে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত এবং অন্য দেশ থেকে আগত মিলিয়ে উপসর্গধারী কোভিড রোগী পাওয়া গেছে মোট এক লাখ এক হাজার ৪৮৬ জন।