আফগান পরিস্থিতি, বাণিজ্য নিয়ে পুতিন-মোদী আলোচনা

ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঝালাই করতে ভারত সফর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

>>রয়টার্স
Published : 6 Dec 2021, 03:51 PM
Updated : 6 Dec 2021, 03:51 PM

রাজধানী নয়া দিল্লিতে সোমবারের এই বৈঠকে দুই নেতা আলোচনা করেছেন বাণিজ্য এবং আফগানিস্তানের অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে।

এ বছর অগাস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

নয়া দিল্লি এবং মস্কো উভয়ই এর আগে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য আফগান পরিস্থিতিকে ঝুঁকি বলে বর্ণনা করেছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এক মন্তব্যে পুতিন বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই মানে মাদক পাচার এবং সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধেও লড়াই করা। সেদিক থেকে আমরা আফগান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়তে থাকার মধ্যে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তা নয়াদিল্লি সফরে গেলেন।

এই সফরে আলাদা করে নজর কাড়ছে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি। রাশিয়ার কাছ থেকে দূরপাল্লার এস–৪০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে ভারত যে চুক্তি করেছে তার আর্থিক মূল্য ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবারেই এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এই চুক্তি ক্ষুন্ন করার যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার পরও তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালেই সই হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক চুক্তি। পুতিনের এবারের সফরেই চুক্তিটি চূড়ান্ত রূপ পাচ্ছে।

একইসঙ্গে বৈঠকে কয়েকটি বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা চুক্তি পাকা করার কথা আছে ভারত ও রাশিয়ার। দুই দেশের সম্পর্ক ‘খুবই অনন্য এবং নির্ভরযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী।

গত এক দশকে ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠার কারণে মস্কো-দিল্লি ঘনিষ্ঠতায় অনেকটাই ভাটা পড়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি বাড়তে থাকায় ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে।

স্থলসীমান্তেও চীন-ভারত বিরোধ-লড়াই চলছে। ওদিকে, নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াড নিরাপত্তা জোট গড়েছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে দিল্লি–ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে রাশিয়ার।

রাশিয়া তাই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিত্রতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক ঝালাই করে নিতে সচেষ্ট হয়েছে।