নেদারল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ১৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত

নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুটি ফ্লাইটের ১৩ জন যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2021, 04:12 PM
Updated : 28 Nov 2021, 04:12 PM

বিবিসি জানায়, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল আসা ৬১ জন যাত্রীর মধ্যে এই ১৩ জনের ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হল।

গত শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ডসে নামা দু’টি ফ্লাইটের ৬০০ যাত্রীর মধ্যে ৬১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ওই যাত্রীদের বিমানবন্দরের কাছের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

রোববার ডাচ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক হেলথ এই যাত্রীদের ১৩ জনের দেহে নতুন ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে। তবে বলেছে, ভাইরাসটি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া এখনও চলছে- যার মানে হচ্ছে, কোভিড পরীক্ষার আরও নমুনায় ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হতে পারে।

ডাচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি জঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত মানুষজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোভিড পরীক্ষা করার সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নেদারল্যান্ডসে এমন শনাক্ত আরও অনেকেই থাকার বিষয়টি অচিন্তনীয় নয়।”

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সবশেষ যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক’ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করেছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার অনেক দেশ এরই মধ্যে আফ্রিকার একাধিক দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসও এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা সব ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রওনা হয়ে যেসব যাত্রী এখনও পথে রয়েছেন, নেদারল্যান্ডসে পৌঁছানোর পর তাদের প্রত্যেকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে।

ইউরোপে রেকর্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে হিমশিম খাওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার শয্যার অভাব আছে। অপারেশন বাতিল হয়ে যাচ্ছে এবং প্রতি সপ্তাহেই শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র এক সংবাদদাতা।

রোববার সকালে দেশটিতে জারি থাকা আংশিক লকডাউনের আওতা বাড়ানো হয়েছে। আগামী অন্তত তিন সপ্তাহ এই লকডাউন বহাল থাকবে।

নতুন কড়া নিয়মের আওতায় দেশটির বার, রেস্টুরেন্ট এবং দোকানগুলো পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়েও আগে বন্ধ করে দিতে হবে এবং বাড়িতে অতিথি সমাগমও হতে হবে সীমিত আকারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে লোকজনকে বাড়ি থেকেও কাজ করতে বলা হচ্ছে।