শনিবার আগুন লাগার পর কানাডার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, পরিবেশগত বিপর্যয়সহ পরিস্থিতি মূল্যায়নে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সঙ্গে কাজ করছে।
এমভি জিম কিংস্টোন নামের ওই জাহাজটির ১৬ জন ক্রু সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হলেও আগুন নেভানোর চেষ্টায় পাঁচ জন সেখানে রয়ে গেছেন বলে শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডার কোস্টগার্ড।
তখন ১০টি কন্টেইনার পুড়ছিল আর আগুন ছড়াতে থাকলেও জাহাজটিতে আগুন ধরেনি বলে জানিয়েছিল তারা।
সংস্থাটি জানিয়েছে, জাহাজ থেকে সাগরে পড়ে যাওয়া ৪০টি কন্টেইনারের খোঁজে মার্কিন কোস্টগার্ডের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে তারা। ওই সব কন্টেইনার নাবিকদের জন্য উল্লেখ করার মতো ঝুঁকি তৈরি করেছে।
“নাবিকদের ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তীরে থাকা লোকজনের জন্য নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই, তারপরও পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।
তাদের হাতে আসা একটি ভিডিওতে জাহাজটির ডেক থেকে আগুন পানি পর্যন্ত নেমে গেছে, এমনটি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার জিম কিংস্টোন জাহাজটি থেকে জানানো হয়েছিল, তারা হুয়ান দে ফুকা প্রণালীর পশ্চিম দিকে খারাপ আবহাওয়ার মোকাবেলা করছে।
পরিবেশ সংস্থা সার্ফরাইডার ফাউন্ডেশন কানাডার সভাপতি ডেভিড বুটিনো বলেছেন, “এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওই জাহাজ ও কন্টেইনার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার (রাজধানী) ভিক্টোরিয়ার খুব কাছে আর আজ রাতে বড় ধরনের একটি ঝড়ের পূর্বাভাস আছে। আরেকটি পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে আছি আমরা।”
মাল্টার পতাকাবাহী জিম কিংস্টোন সাইপ্রাসভিত্তিক দানাওস শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনাধীন জাহাজ বলে জানা গেছে।