তিন বছর আগে সোয়াজিল্যান্ড থেকে নাম বদলে ইসওয়াতিনি হওয়া দেশটি জুন থেকেই একের পর এক বিক্ষোভে নাকাল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আফ্রিকার দেশটির সরকারকে ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটের কিছু পরিষেবা স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধও রাখতে হয়েছিল।
দেশটিতে এখন সব ধরনের বিক্ষোভও নিষিদ্ধ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন সরকারি খাতের কর্মীরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে পার্লামেন্টে পিটিশন দিতে গেলে তাদেরকে ‘পুলিশের নজিরবিহীন বলপ্রয়োগের’ মুখে পড়তে হয় বলে জানিয়েছে সোয়াজিল্যান্ড ডেমোক্রেটিক নার্সেস ইউনিয়ন (এসডিএনইউ)।
“সেদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়লে অন্তত ৩০ নার্স আহত হয়। গুলিতে অল্পবয়সী এক পথচারী নিহতও হয়েছিল,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।
নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘সাপের বংশধর’ অ্যাখ্যা দিয়ে এসডিএনইউ সব নার্সকে ‘গুলিবিদ্ধ সহকর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে’ পুলিশ সদস্যদের সেবা না দিতে আহ্বান জানায়।
এই আহ্বান ‘সবাইকে সেবা দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করা নার্সদের নীতির সঙ্গে যায় না বলে স্বীকারও করে নিয়েছেন তাদের ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ওয়েলকাম এমদ্লুলি।
“আমরা খবর পেয়েছি পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে, আমরা তাদের ভয় পাচ্ছি,” স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নার্সদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়ার নিশ্চয়তা না দিলে পুলিশ সদস্যদের সেবা দেওয়া বয়কটের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইসওয়াতিনির সরকার বলছে, কোনো বিক্ষোভেই নিরাপত্তা বাহিনী তাজা গুলি ব্যবহার করেনি।
“নার্স গুলিবিদ্ধ এমন কোনো খবরই পাইনি আমরা। পুলিশ রাস্তায় আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়, উল্টাপাল্টা গুলি চালানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি,” বিবিসির ‘ফোকাস অন আফ্রিকাকে’ বলেছেন সরকারি এক মুখপাত্র।
শুক্রবারও দেশটির তিনটি হাসপাতালের নার্সরা বিক্ষোভ করেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
সোয়াজিনিউজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে ইসওয়াতিনির দক্ষিণাঞ্চলে নহ্লাংগানো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্সদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।