আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে আর কর্তৃপক্ষ তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আছে বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
“ঘরবাড়ি, সেতু ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চালাতে তিনটি হেলিকপ্টার (সেনাবাহিনীর) মোতায়েন করা হয়েছে,” উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
কয়েকদিন ধরে চলা ভারি বৃষ্টিতে পর্বতময় রাজ্যটিতে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে, সেতু ধসে পড়েছে ও উপচে পড়া নদীর কারণে প্রত্যন্ত ও বিপজ্জনক কিছু এলাকায় পর্যটক ও স্থানীয়রা আটকা পড়ে গেছেন।
নৈনিতালমুখি তিনটি সড়ক ভূমিধসে বন্ধ হওয়ার পর থেকে পর্যটন জেলাটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে।
যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে নেপাল থেকে আসা তিন শ্রমিক রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
পুরি জেলা হাকিম বিজয় কুমার জগদান্দে জানিয়েছেন, উঁচু একটি মাঠ থেকে পানির সঙ্গে থাকা পাথরকুঁচি এসে ল্যান্সডাউনে অবস্থানরত ওই শ্রমিকদের ওপর পড়ে, এতে তাদের মৃত্যু হয়।
চম্পাবত জেলায় একটি বাড়ি ধসে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। এখানে চালতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি সেতু উপচে পড়া পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
সোস্যাশ মিডিয়ায় আসা ছবি ও ভিডিওতে ভীতিকর দৃশ্য দেখা গেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, উত্তরাখাণ্ডের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ নৈনিতাল হ্রদের পানি উপচে আশপাশের বাড়ি ও রাস্তা ডুবে গেছে। হাঁটু পর্যন্ত পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে আর রাস্তা পার হতে দুই ব্যক্তিকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
এএনআইয়ের আরেকটি ভিডিওতে হলদিওয়ানি জেলার গাউলা নদীর ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়া শুরু হয়েছে বলে দেখা গেছে। সেতুটি পার হতে চাওয়া একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে তিন-চার জন ব্যক্তি চিৎকার করে সাবধান করছিলেন।
পরবর্তী ৫০ সেকেন্ডের মধ্যেই সেতুর ফাটগুলো চওড়া হয় আর কাঠামোটি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে, উপচে পড়া নদীর তীব্র স্রোতে সেগুলো ভেসে যায়।
কিছু ছবিতে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক সংলগ্ন লেমন ট্রি হোটেলের ছাদে আটকা পড়া পর্যটকদের দেখা গেছে। হোটেলটিতে আটকা পড়া শতাধিক পর্যটককে পরে উদ্ধার করা হয়েছে বলে এএনআই জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যটির দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। তারা কেদারনাথ মন্দির থেকে ফেরার পথে আটকা পড়া ২২ তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করে।
রাজ্য ও জাতীয় দুর্যোগ বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও তলব করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানিয়েছেন।